Advertisement
E-Paper

উলুবেড়িয়ায় এটিএমে ‘মেওয়াত’হানা, লুট প্রায় সাড়ে সাত লাখ

উলুবেড়িয়ারই ডোমপাড়া এবং বাগনানের খালোড়ে একই কায়দায় দু’টি এটিএম লুটের চেষ্টা হয়েছে। 

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৫৭
দুঃসাহসিক: কুলগাছিয়ার ভেঙে ফেলা এটিএম। (ইনসেটে) ভাঙা সিসি ক্যামেরা। ছবি: সুব্রত জানা

দুঃসাহসিক: কুলগাছিয়ার ভেঙে ফেলা এটিএম। (ইনসেটে) ভাঙা সিসি ক্যামেরা। ছবি: সুব্রত জানা

আবার তারা এসেছে ফিরে— রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে সোমবার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে মেওয়াত গ্যাং নিয়ে। যদিও তার আগে, রবিবার রাতে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় একটি এটিএম গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে লুট হয়ে গিয়েছে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। উলুবেড়িয়ারই ডোমপাড়া এবং বাগনানের খালোড়ে একই কায়দায় দু’টি এটিএম লুটের চেষ্টা হয়েছে।

পুলিশের ধারণা, এটিএম লুটে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশকে ঘোল খাওয়ানো মেওয়াত গ্যাং-ই রয়েছে এর পিছনে। তার পরেই হাওড়া, বিধাননগর এবং ব্যারাকপুর— তিন কমিশনারেটকে সতর্ক করে রাজ্য পুলিশ। উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম-এ লুটের ঘটনা ঘটে রবিবার রাতে। কিন্তু তা জানাজানি হয় সোমবার বিকেলে।

ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা-সহ পদস্থ পুলিশ অফিসারেরা। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।’’

কুলগাছিয়ার এটিএম কাউন্টারটিতে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। তবে সিসি ক্যামেরা ছিল। কিন্তু দুষ্কৃতীরা সেটি ভেঙে দিয়েছে। পু‌লিশ জানিয়েছে, তাদের ধারণা, ঘটনাটি ঘটেছে সাড়ে ১২টা থেকে রাত ৩টের মধ্যে। তদন্তে পুলিশ দেখেছে, গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএমের নীচের অংশ কাটা হয়। সেখানেই টাকা রাখা থাকে। যাওয়ার আগে তারা কাউন্টারের শাটার গেট ফেলে দিয়ে যায়। যাতে মনে হয় এটিএম বিকল। বেলা ১২টা নাগাদ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষই বন্ধ গেট খুলেই ভিতরে ঢোকেন। বিকেল ৪টে নাগাদ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কিছু আচরণ নিয়ে পুলিশ কর্তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। প্রথমত, সকাল থেকে এটিএমের গেট বন্ধ থাকলেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কোনও সন্দেহ হল না কেন? দ্বিতীয়ত, বেলা ১২টায় বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেও পুলিশকে তা জানাতে এত দেরি হল কেন? ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি। তবে জানা গিয়েছে, প্রথমে তাঁরা হিসাব করছিলেন ঠিক কত টাকা লুট হয়েছে। তারপরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানানো হয়েছে।

পুলিশ ওই এটিএমের আশপাশের দোকানে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। বছর দুই আগে হাওড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় পর পর এটিএম ভেঙে টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছিল। হাওড়া শহরের এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী এর সঙ্গে জড়িত ছিল। পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, ওই দুষ্কৃতীর সঙ্গে কুলগাছিয়ার এটিএম লুটের কোনও সম্পর্ক আছে কিনা।

পুলিশের ধারণা, সিসিটিভি-র কার্যকারিতা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন পরীক্ষা করেননি। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘আমরা ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বসে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম। কাউকে জোর করতে পারি না।’’ যদিও এ দিনের ঘটনার পরে পুলিশ নিজে থেকে বিভিন্ন এটিএমের সিসিটিভি ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করবে বলে জানান জেলা পুলিশের কর্তারা।

বছর দুয়েক আগে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ মেওয়াত গ্যাং-এর কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল। তার আগেও তারা কয়েকটি এটিএম লুট করেছিল। সেই গ্যাং যে ফের সক্রিয় হয়েছে, তা জানিয়েছে কানপুর পুলিশ। গত মার্চে তারা মেওয়াত গ্যাং-এর ৮ জনকে গ্রেফতার করে। কানপুর পুলিশ জানতে পারে গ্যাংটি বেশ কয়েকটি এটিএম লুট করেছিল। ওই গ্যাং বেঙ্গালুরু, লাতুরের এটিএম লুট করেছিল।

Loot ATM Mewat Gang
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy