জিমে গিয়ে শরীরচর্চা অনেকেই করেন, কিন্তু সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকে না সকলের। আর সেখানেই প্রয়োজন পড়ে প্রশিক্ষকের। বিভিন্ন বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা ফিট করার বদলে অসুস্থ করে দিতে পারে, ওজন কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিতে পারে, আবার বাড়ানোর বদলে কমিয়ে দিতে পারে। তবে অভিনেত্রী তমন্না ভাটিয়ার ফিটনেস প্রশিক্ষক সিদ্ধার্থ সিংহ সম্প্রতি এমনই তিনটি ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আলোচনা করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রামে।
কী কী সেই ভ্রান্ত ধারণা?
প্রথম ধারণা
ঘাম না ঝরলে সব বৃথা— এমন ধারণা অনেকেরই থাকে। ব্যায়াম করছেন, অথচ ঘাম ঝরছে না! তার মানে ওজন কমছে না, ফিটও হচ্ছেন না। এই ভাবনা থেকেই অনেকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন জিমে গিয়ে। তাতে উল্টে শরীর খারাপ হতে পারে। প্রশিক্ষকের যুক্তি, খুব ঠান্ডার জায়গায় বা ঠান্ডার মাসগুলিতে শরীরচর্চা করলেও ঘাম ঝরে না। তার মানে কি, শীতের সময়ে ওজন কমে না? অথবা সাতারুঁদের ঘাম হয় না, তবে কি তাঁদের ওজন বেশি? বরং সকলের জন্য প্রশিক্ষকের পরামর্শ, নিজের ক্ষমতা বুঝে চেষ্টা চালিয়ে যান, কোনও কিছুই বিফলে যায় না।
শরীরচর্চা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা। ছবি: সংগৃহীত।
দ্বিতীয় ধারণা
প্রতি সপ্তাহে ব্যায়ামের ধরন পাল্টাতে হয়— দ্রুত চর্বি ঝরাতে হলে এক সপ্তাহ অন্তর নতুন নতুন ব্যায়াম করতে হবে, এমন ধারণা অনেকেরই আছে। কিন্তু সিদ্ধার্থের মতে, ফলাফল পেতে হলে একই ব্যায়ামের প্রতি মনোযোগী হতে হবে সপ্তাহের পর সপ্তাহ। তবেই আপনি টের পাবেন, আপনার শরীর আগের থেকে মজবুত হচ্ছে কি না। কেবল এক সপ্তাহ পর পর সেটের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারেন।
তৃতীয় ধারণা
হালকা ভারোত্তোলন টোনিংয়ের, ভারী ভারোত্তোলন পেশির সুগঠনের জন্য দরকার— এই ধারণার সঙ্গেও সহমত নন সিদ্ধার্থ। তাঁর কথায়, ‘‘চর্বি নীচে নেমে গিয়ে পেশি যখন শরীরের উপরের দিকে চলে আসে, তাকে টোনিং বলে। তাই হালকা বা ভারী ওজনের সঙ্গে পেশি বা টোনিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। আপনি যদি নিয়মিত ১০-১২ রেপস (রিপিটেশন) করেন, তা হলে সুফল পাবেন।’’