Advertisement
E-Paper

জলমগ্ন গোঘাটের পাঁচ গ্রাম

শ্যাওড়া পঞ্চায়েত এলাকার গাঁধীপাড়া বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গোয়ালপাড়া, বেলেকুসমা, মুক্তারপুর গ্রামের মাঠও ডুবে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ০১:২৯
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

এক রাতের বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হল গোঘাট-১ ব্লকের বালি এবং শ্যাওড়া পঞ্চায়েত এলাকার খান পাঁচেক গ্রাম। শ্যাওড়ার গাঁধীপাড়ায় ৫০টি মাটির বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া দুই পঞ্চায়েত এলাকার মাঠ জলে ডুবে সদ্য রোপণ করা আমন ধানও নষ্টের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, “গ্রাম সংলগ্ন নিকাশি খালগুলো সংস্কার না হওয়াতেই এই বিপর্যয়। এতদিন ১০০ দিন কাজ প্রকল্পের নামে ঝোপ কাটা হয়েছে। বুজে যাওয়া খাল সংস্কার হয়নি।” বালি পঞ্চায়েত এলাকার লক্ষ্মীপুর, দিঘরা, কানাইপুর, গোয়ালসাড়া জলমগ্ন হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের বাবলু মণ্ডল, কানাইপুরের দিলীপ রায়দের অভিযোগ, “ঝিনকার খাল সংস্কার না হওয়াতেই বৃষ্টির জল গ্রামে ঢুকে যাচ্ছে। দিন পাঁচ আগে লাগানো ধান এ বার জলে ডুবে থাকলে আর রক্ষা নেই।’’

শ্যাওড়া পঞ্চায়েত এলাকার গাঁধীপাড়া বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গোয়ালপাড়া, বেলেকুসমা, মুক্তারপুর গ্রামের মাঠও ডুবে গিয়েছে। এ অঞ্চলের মূল সমস্যা, দলকার জলার নিকাশি নালাগুলোও সংস্কার হয়নি। শ্যাওড়ার বিমল মালিক নামে এক চাষির অভিযোগ, “জমা জল দক্ষিণদিক দিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের সুলতানপুর জলায় চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু নিকাশি নালাগুলো সংস্কার না হওয়ায় এই হাল।’’

শনিবার সকালে জলমগ্ন এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন গোঘাট বিধায়ক মানস মজুমদার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল প্রমুখ। মনোরঞ্জনবাবু বলেন, “১০০ দিন প্রকল্পে গত বছর থেকেই নিকাশি খাল সংস্কারের মতো কাজ করায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। কেন্দ্রীয় প্রকল্পটির এই নীতির জন্য মানুষকেভুগতে হচ্ছে।’’

গোঘাট-১-এর বিডিও অনন্যা ঘোষ বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমরা চাল, ত্রিপল, শুকনো খাবার পাঠিয়েছি। এলাকার জল নিকাশির জন্য পরিকল্পনা চলছে।’’

Rain Monsoon Flood
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy