জমি: মাটি কাটার পরে। ছবি: দীপঙ্কর দে
এলাকা থেকে বেআইনি ভাবে মাটি কাটার প্রতিবাদে শুক্রবার চণ্ডীতলা-১ ব্লকের ভূমি দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তৃণমূল। তার ২৪ ঘণ্টা পরে, শনিবার অবশ্য দেখা গেল, মাটি কাটা বন্ধ। কিন্তু এই অবৈধ কাজ কতদিন বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে ধন্দে গ্রামবাসীরা। তাঁরা মনে করছেন, কয়েকদিন পরে মাটি-মাফিয়ারা ফের স্বমূর্তি ধরবে। ঠিক যেমনটি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত-২ ব্লকের শাসন, খড়িবাড়ি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়।
চণ্ডীতলা-১ ব্লকের বিডিও এষা ঘোষ জানিয়েছেন, মাটি কাটা নিয়ে চাষিদের অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষিজমির মাটি কাটা বেআইনি, বলছে ভূমি দফতর। কিন্তু প্রশাসনের বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চণ্ডীতলা-১ ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েত এলাকায় দেখা যাচ্ছিল, বড় বড় যন্ত্র এনে দিন থেকে রাত— মাটি কাটা হচ্ছে। লরি-ট্রাকে সেই মাটি পাচার হচ্ছিল অন্যত্র। প্রশাসনের একাংশের মদতে ওই কাজ হচ্ছিল, এই অভিযোগও ওঠে। এ সবের জেরেই শুক্রবার তৃণমূল বিক্ষোভ দেখায়।
চাষিদের অভিযোগ, কিছু গ্রামবাসীর হাতে নামমাত্র টাকা ধরিয়ে মাটি-মাফিয়ারা বহু মাটি কেটে নিচ্ছে। কোনও অনুমতি নেওয়া হচ্ছে না। কোথাও আবার চাষিকে না জানিয়েই যন্ত্র নামানো হচ্ছে তাঁর জমিতে। ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছেন না চাষিরা। নবাবপুর পঞ্চায়েতের পাকুর গ্রামের চাষি মনোজ পালের সরালে এক বিঘা জমি রয়েছে। মনোজবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমার পাশের জমি থেকে ২৫ ফুট গর্ত করে মাটি কাটা হয়েছে। তার জেরে এখন আমার জমিতে ধস নামছে। ইতিমধ্যে প্রায় এক কাঠা জমি ধসে গিয়েছে। প্রশাসনকে বারবার চিঠি দিয়ে কোনও ফল হয়নি।’’ মাটি কাটা নিয়ে এমনই নানা অভিযোগ তুলেছেন চাষিরা। তবে, এ নিয়ে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সোনালি পালের সঙ্গে এ দিন কথা বলা যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy