Advertisement
E-Paper

হাওড়ার দুই স্কুলকে ‘সেরা’র স্বীকৃতি

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, কাল, শনিবার রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে জেলাশাসকের কার্যালয়ে তিনটি পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে প্রাপকদের হাতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২১
সেরা বিদ্যালয় : গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দির (বাঁ িদকে)। বাগনান হাইস্কুল (ডান িদকে)। ছবি: সুব্রত জানা

সেরা বিদ্যালয় : গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দির (বাঁ িদকে)। বাগনান হাইস্কুল (ডান িদকে)। ছবি: সুব্রত জানা

চলতি বছরে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকা থেকে জেলার ‘সেরা বিদ্যালয়’-এর পুরস্কার পাচ্ছে দু’টি স্কুল। পঠনপাঠনে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের জন্য বাগনান হাইস্কুল। খেলাধুলোর জন্য পাঁচলার গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দির। গ্রামীণ এলাকা থেকে জেলার ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার পাচ্ছেন আমতার সোনামুই সাবাল্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণকুমার পাত্র।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, কাল, শনিবার রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে জেলাশাসকের কার্যালয়ে তিনটি পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে প্রাপকদের হাতে।
১৮৫৪ সালের ৩ মে প্রতিষ্ঠিত বাগনান হাইস্কুল জেলার অন্যতম পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমান ছাত্রসংখ্যা তিন হাজারের বেশি। কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে এই স্কুলের ছেলেরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। স্কুলের এই সম্মান প্রাপ্তিতে প্রধান শিক্ষক ভাস্কর আদক বলেন, ‘‘এই সাফল্য ছাত্র, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মিলিত প্রয়াসের ফল। আমরা গর্বিত।’’
জেলায় খেলাধুলোয় সাফল্যের নিরিখে গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দির অনেক আগে থেকেই সুনামের অধিকারী। ১৯৬৪ সালে আক্ষরিক অর্থে পিছিয়ে পড়া এলাকায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় শিক্ষাবিদ সন্তোষকুমার দাস। প্রথম থেকেই ছাত্রদের পড়াশোনার সঙ্গে খেলাধুলোর দিকেও তাঁর নজর ছিল। বিশেষ করে ফুটবলে। ২০১৫ সালে সন্তোষবাবুর উদ্যোগেই তৈরি হয় ফুটবল অ্যাকাডেমি। এই স্কুলের ছাত্রেরা সেখানে বিনা পয়সায় প্রশিক্ষণ পায়। স্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতা ‘সুব্রত মুখার্জি কাপ’-এ গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরের সিনিয়র বিভাগ ২০১৯ সালে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলায় যোগ দিয়েছিল। এ ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের বহু ফুটবল প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে একাধিকবার বিজয়ী হয়েছে। খো-খো, কবাডি প্রভৃতি খেলা এবং এনসিসি-তে এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সাফল্য উল্লেখযোগ্য। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শঙ্কর খাঁড়া বলেন, ‘‘খেলাধুলোয় জেলার সেরা স্কুল হিসাবে পুরস্কার পাচ্ছি। এর থেকে বড় গর্বের খবর আর কী হতে পারে!’’
সোনামুই সাবাল্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে ২০০৮ সালে অরুণবাবু যখন যোগদান করেন, তখন স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৪২-এ। স্কুলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলে‌ন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের ফের তিনি স্কুলমুখী করেন। বর্তমানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৩৪। অভিভাবকরা জানান, অরুণবাবু পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি চালু করেন। ছাত্রছাত্রীদের কাছে তা বেশ আকর্ষণীয় বলে মনে হয়। স্কুলের প্রতি আস্থা ফিরে আসে তাদের।
অরুণবাবু বলেন, ‘‘আমি যে ভাবে পঠনপাঠন চালাতে চেয়েছি তাতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। ছেলেমেয়েদের তাঁরা স্কুলে পাঠিয়েছেন। সহশিক্ষকেরা আমাকে পূর্ণ সহায়তা করেছেন।
এই পুরস্কার সকলের মিলিত উদ্যোগের ফসল।’’

Howrah Uluberia Education
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy