আদালতের পথে ধৃতেরা। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।
বারাণসীতে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছিল তাকে। নিজেরই বুদ্ধির জোরে বাঁচল কিশোরী।রবিবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়ার পরে সে পুলিশকে জানিয়েছে, কু়ড়ি হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল তাকে। এতে যুক্ত তারই দুই ‘বন্ধু’। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করে হাওড়া গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বছর সতেরোর ওই কিশোরীর বাড়ি দার্জিলিঙের প্রধাননগরে। সে পুলিশকে জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে স্থানীয় বাসিন্দা সুস্মিতা রায় ওরফে মাম্পি নামে এক তরুণী এবং রূপম নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তার। তাঁদের সঙ্গেই কলকাতায় বেড়াতে আসার জন্য গত ৩০ অগস্ট শিলিগুড়ি থেকে ট্রেনে ওঠে সে। পরদিন ট্রেন থেকে নেমে শিয়ালদহ সংলগ্ন এক হোটেলে ঘর ভাড়া নেওয়া হয়। সেখানে তাকে রেখে চলে যান রূপম এবং মাম্পি। অভিযোগ, সন্ধ্যায় মাম্পির সঙ্গে ওই কিশোরীর ঘরে ঢোকেন তিন অপরিচিত ব্যক্তি। মাম্পি চলে গেলে ওই তিন জন তার সঙ্গে ‘অসভ্যতা’ করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে তাকে জানানো হয়, কুড়ি হাজার টাকার বিনিময়ে তার ‘বন্ধুদের’ থেকে ওই কিশোরীকে কিনে নিয়েছেন ওই তিন জন।
এখানেই শেষ নয়। রবিবার সকালে বারাণসীর ট্রেন ধরার জন্য হাওড়া স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয় ওই নাবালিকাকে। অভিযোগ, বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। তবু হাল ছাড়েনি কিশোরী। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হাওড়া স্টেশনের সাবওয়ে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে পুলিশকে দেখে চিৎকার করে ওঠে মেয়েটি। ছুটে আসেন আরপিএফ জওয়ানেরা। কিশোরীর থেকে গোটা ঘটনা জেনে তাঁরাই খবর দেন স্থানীয় গোলাবাড়ি থানায়। এর পরেই হাওড়া সিটি পুলিশের দল এসে উদ্ধার করে ওই নাবালিকাকে। কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তখনই গ্রেফতার করা হয় বারাণসীর বাসিন্দা শরদ গুপ্ত, প্রদীপকুমার সিংহ এবং দীনেশ গুপ্তকে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কিশোরীর ‘বন্ধু’ সুস্মিতা। গ্রেফতার করা হয়েছে তাকেও। পলাতক রূপমের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ওই নাবালিকাকে। খবর পাঠানো হয়েছে তার বাড়িতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy