বহুরূপে সম্মুখে:স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে প্রভাতফেরি। পাঁচলার রঘুদেবপুরে। ছবি: সুব্রত জানা
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদ্যোগে রামকৃষ্ণদেবের জন্মভূমি কামারপুকুর পৌঁছনোর মূল প্রবেশদ্বার কামারপুকুর চটি মোড়ে বিবেকানন্দের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে। কিন্তু সেখানে আলোর ব্যবস্থা ছিল না। বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার ওই মূর্তি এবং চত্বর আলোকিতকরণ ও সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল।
কামারপুকুর মঠ ও মিশনের উদ্যোগে কামারপুকুর চটি মোড়ে প্রতিষ্ঠিত স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিটি ব্রোঞ্জের তৈরি। উচ্চতা ১০ ফুট ১১ ইঞ্চি। সাড়ে ১১ কুইন্টল ওজনের ও মূর্তি স্থাপনে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। শুধু বিবেকানন্দ মূর্তি চত্বরই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রামকৃষ্ণদেবের জন্মভূমি কামারপুকুর উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে, জানালেন গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার।
আবর্জনা আর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকায় মুড়ে থাকা ওই এলাকা নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ ছিল। মাস কয়েক আগে এলাকার একটি গোষ্ঠী এলাকার সৌন্দর্য রক্ষার কাজ শুরু করেছিলেন। তারপর পূর্ত দফতরের (বিদ্যুৎ) তরফে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এলাকা আলোকিত করারও কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১৮ সালের ২০ মার্চ গুড়াপে হুগলির প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কামারপুকুরকে সাজানোর কথা ঘোষণা করেন।
রবিবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় যুবদিবস ও যুব সম্মেলনের আয়োজন করলেন কামারপুকুর মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীরা। সকালে শোভাযাত্রা করে কামারপুকুর গ্রাম প্রদক্ষিণ হয় এবং মেলাতলা মাঠে যুব সম্মেলন উৎসবের সূচনা হয়। স্বামীজির লেখা গান-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। রাজ্যের যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতর থেকেও মহকুমার ৬টি ব্লকে অনুষ্ঠান হয়। সোঁয়ালুক আজাদ হাইস্কুল, আরামবাগ বয়েজ হাইস্কুল-সহ মহকুমার বিভিন্ন স্কুলে বিবেকানন্দের জীবনী নিয়ে আলোচনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy