বিজেপির প্রচার মিছিলে হামলা ও এক প্রার্থীর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে উলুবেড়িয়ার সিজবেড়িয়ার ঘটনা।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মালিনী হাজরার স্বামী প্রদীপ হাজরাকে তৃণমূলের লোকজন এ দিন প্রচণ্ড মারধর করে বলে অভিযোগ। প্রদীপবাবুকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের তরফে উলুবেড়িয়া থানায় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শাশ্বতী সাঁতরার স্বামী সৌমিত্র সাঁতরা এবং ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল নেতা ভরত মণ্ডল-সহ তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কর্মীদের মারধর ও মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও সৌমিত্র, ভরত দু’জনেই জানিয়েছেন তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক একটি পরিবারের তরফেও পাল্টা বিজেপির মিছিলের লোকজনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছে। দু’টি অভিযোগই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিজেপি-র হাওড়া গ্রামীণ এলাকার সভাপতি গৌতম রায় বলেন, ‘‘এলাকায় আমাদের সংগঠন আগের চেয়ে মজবুত হয়েছে। আর তাতেই ভয় পেয়ে তৃণমূল আমাদের উপরে আক্রমণ শুরু করেছে। প্রার্থী, কর্মীদের ভয় দেখাতে চাইছে।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা তৃণমূল সভাপতি (গ্রামীণ) পুলক রায় বলেন, ‘‘এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। বিজেপি-র কর্মীরা একটি বাড়িতে ঢুকে স্নানরতা এক মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা তার প্রতিবাদ করে।’’ গৌতমবাবু অবশ্য এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
পুলিশ ও বিজেপি সূত্রে খবর, এ দিন বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ বিজেপির ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মালিনী হাজরা ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী অদিতি পালচৌধুরী সিজবেড়িয়ায়ো প্রচার করতে যান। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তাঁরা মিছিল করছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূলের ৬০-৭০ জন কর্মী-সমর্থক তাদের পিছু নেয়। চলতে থাকে তাদের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে সমানে গালিগালাজ। ছোড়া হতে থাকে ইট-পাটকেল। মিছিলের পিছন দিকে থাকা মহিলাদের মাথায় লাঠি দিয়ে টোকা মারতে থাকে। প্রতিবাদ করলেও তারা শোনেনি।
হাসপাতালে শুয়ে প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘মিছিলের উপরে হামলার কথা শুনে স্ত্রীর জন্য চিন্তা হচ্ছিল। তাঁকে খুঁজতে বের হয়ে মহকুমা শাসকের অফিসের দিকে চলে যাই। সেখানে হঠাৎই তৃণমূলের কয়েকজন আমাকে ঘিরে ধরে মারতে শুরু করে। খবর পেয়ে বিজেপির লোকজন ছুটে এলে ওরা পালিয়ে যায়।’’