Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
শ্রীরামপুর

কলেজে কাউন্সিলর, মারধরের অভিযোগ তুলল এসএফআই

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাইরের কেউ নাক গলাবেন না— দলের নেতাদের এ কথা বলে বার বারই সতর্ক করছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর সেই হুঁশিয়ারির পরোয়া করছেন না অনেকে। সোমবার তেমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল শ্রীরামপুর কলেজ।

ক্যাম্পাসে কাউন্সিলর ঝুম মুখোপাধ্যায়। ছবি: প্রকাশ পাল

ক্যাম্পাসে কাউন্সিলর ঝুম মুখোপাধ্যায়। ছবি: প্রকাশ পাল

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর ও হাবরা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:২৭
Share: Save:

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাইরের কেউ নাক গলাবেন না— দলের নেতাদের এ কথা বলে বার বারই সতর্ক করছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর সেই হুঁশিয়ারির পরোয়া করছেন না অনেকে। সোমবার তেমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল শ্রীরামপুর কলেজ। দলবল নিয়ে কলেজ চত্বরে ঢুকে দাপাদাপির অভিযোগ উঠ‌েছে তৃণমূল কাউন্সিলর ঝুম মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। কাউন্সিলরের লোকজন তাঁদের কয়েকজনকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ এসএফআইয়ের। আরও এক কাউন্সিলরকেও এ দিন কলেজে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।

দলের নির্দেশ অমান্য করে কেন এ দিন কলেজে গিয়েছিলেন ঝুম?

জবাবে তিনি জানিয়েছেন, কলেজে উত্তেজনার খবর পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘কলেজের কর্মীরা অনেকে শ্রীরামপুরে থাকেন। তাঁরা স্থানীয় ভোটার। ওঁদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা দেখতে গিয়েছিলাম। ভোট নিয়ে মাথাব্যথা নেই।’’ এসএফআইয়ের কাউকে মারধর করা হয়নি বলে দাবি করেছেন কলেজের টিএমসিপি নেতা সঞ্জিত রাম। এ ব্যাপারে কী বলছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? তিনি বলেন, ‘‘আমি দলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের কাছে জানতে চাইব, কেন কাউন্সিলরেরা ওখানে গেলেন?’’

আজ, মঙ্গলবার শ্রীরামপুর কলেজে ছাত্র সংসদের ভোট। ৫১টির মধ্যে ১৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে এসএফআই। সোমবার কয়েকজন প্রার্থীর কিছু নথি জমা দেওয়ার কথা ছি‌ল। অভিযোগ, তাঁরা কলেজে ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। মারধরও করা হয় কয়েকজনকে। ঝুমের সামনেই কলেজের কিছু টিএমসিপি সমর্থক এবং কয়েকজন বহিরাগত এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।

গোলমালের মধ্যেই ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন এসএফআই প্রার্থী দেবলীনা চক্রবর্তী। পরে পুলিশ এসে তাঁকে কলেজ থেকে বের করে। দেবলীনা বলেন, ‘‘শিক্ষকেরা কয়েকজন আমাকে বাঁচাতে গেলে তৃণমূলের ছেলেরা ওঁদেরও গালিগালাজ করেছে।’’ দেবলীনা এবং সায়াঙ্ক মণ্ডল নামে দুই এসএফআই প্রার্থীর চিকিৎসা করানো হয় শ্রীরামপুর কলেজে। তবে এই পরিস্থিতিতেও তাঁরা ভোটে লড়তে মরিয়া বলে জানিয়েছেন এসএফআইয়ের হুগলি জেলা সম্পাদক অর্ণব বসু। এ দিন উত্তেজনার খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) অতুল ভি, শ্রীরামপুরের এসডিপিও কামনাশিস সেন কলেজে আসেন।

উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা শ্রীচৈতন্য কলেজে এ দিন ছাত্র সংসদের ভোট ছিল। টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছে ডিএসও। ৬ জন জখম হয়েছেন বলে দাবি করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী। ভোটে জয়ী হয়েছে টিএমসিপি। এগারোটি আসনে লড়ে একটিও জিততে পারেনি ডিএসও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE