Advertisement
E-Paper

দলীয় কার্যালয় বন্ধের নির্দেশ

পান্ডুয়া ব্লকে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে। দিন কয়েক আগে এখানে এক জনসভায় যত্রতত্র দলীয় কার্যালয় গজিয়ে ওঠা বন্ধ করতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন হুগলি জেলা তৃণমূলের অন্যতম কার্যকরী সভাপতি তথা মন্ত্রী অসীমা পাত্র।

সুশান্ত সরকার

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:০১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দলীয় কার্যালয় নিয়ে বিড়ম্বনায় শাসক দল!

পান্ডুয়া ব্লকে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে। দিন কয়েক আগে এখানে এক জনসভায় যত্রতত্র দলীয় কার্যালয় গজিয়ে ওঠা বন্ধ করতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন হুগলি জেলা তৃণমূলের অন্যতম কার্যকরী সভাপতি তথা মন্ত্রী অসীমা পাত্র। এ বার আর শুধু মুখে বলা নয়, সদ্য উদ্বোধন হওয়া যুব তৃণমূলের একটি কার্যালয় বন্ধের নির্দেশ দিলেন তিনি।

তৃণমূল সূত্রের খবর, পান্ডুয়া স্টেশন সংলগ্ন জায়গায় ওই কার্যালয়টি তৈরি করেছেন ক্ষীরকুন্ডী-নামাজগ্রাম অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি শেখ সরিফউদ্দিন। রবিবার সন্ধ্যায় সেটির উদ্বোধন করেন পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চম্পা হাজরা। উপস্থিত ছিলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা অসিত চট্টোপাধ্যায়।

দলের জেলা নেতৃত্বের তরফে পান্ডুয়া ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন অসীমা পাত্র। সোমবার সকালে তিনি পুলিশকে ওই পার্টি অফিস বন্ধের নির্দেশ দেন। শেখ সরিফউদ্দিন বলেন, ‘‘সিপিএম আমল থেকে এখানে পার্টি অফিস চালাছি। অফিসটা ভেঙে গিয়েছিল। তাই সংস্কার করে নতুন ভাবে উদ্ধোধন করা হল। সোমবার পান্ডুয়া থানা থেকে অফিস বন্ধ করতে বলা হয়েছে। দলের জেলা যুব সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানিয়েছি। দল যা বলবে, তাই করব।’’

অসীমাদেবীর বক্তব্য, ‘‘নতুন করে দলীয় অফিস করা যাবে না। সেই কারণেই পুলিশকে ওই অফিস বন্ধ করতে বলা হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ব্লকে এত অফিস থাকবে না। শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে ব্লকের দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করব।’’ শান্তনুবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে মেটানো উচিত।’’

সূত্রের খবর, পান্ডুয়া ব্লকের ১৬টি পঞ্চায়েত এলাকায় শাসক দলের কার্যালয়ের সংখ্যা ১০৮টি। সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেসের কার্যালয় যথাক্রমে ২২, ১৪ এবং ৩। তৃণমূলের অন্দরের খবর, ব্লকে দলের একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। এই বিভাজনই এত পার্টি অফিস গড়ে ওঠার মূল কারণ। এক নেতার অফিসে অন্য নেতা যান না। কর্মীদের অনেকের অভিযোগ, কোন নেতার অফিসে যাবেন, তা ঠিক করতে হিমসিম খেতে হয়। তথাকথিত অনেক নেতাদের যেমন কার্যালয় আছে, তেমনি তাঁদের অনেক সঙ্গীও দিব্যি পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছেন। অধিকাংশই সরকারি জমিতে। কোনওটা পূর্ত দফতরের জমিতে। কোনওটা রেলের।

পান্ডুয়ার সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেনের কটাক্ষ, ‘‘ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চেহারা পার্টি অফিসের সংখ্যা দিয়েই প্রমাণ হয়।’’ বিজেপি-র হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পার্থ শর্মা বলেন, ‘‘পুলিশ তৃণমূলের দলদাস। নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নেই বলেই পুলিশকে এই কাজে লাগাচ্ছে।’’

জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের আধিকারিকেরা বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

TMC Asima Patra অসীমা পাত্র
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy