Advertisement
E-Paper

পান্ডুয়ার দলের সভায় নেই তৃণমূলের অনেকেই

দুপুরে পান্ডুয়ার বোসপাড়া মাঠে ওই জনসভায় ছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী, সুবীর মুখোপাধ্যায়রা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৫৮
পান্ডুয়ার তৃণমূলের জনসভায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । ছবি: সুশান্ত সরকার

পান্ডুয়ার তৃণমূলের জনসভায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । ছবি: সুশান্ত সরকার

বিধানসভা ভোট আসছে। অথচ, পান্ডুয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে লাগাম পড়ছে না। বুধবার দলের ব্লক কমিটির ডাকা জনসভায় যথারীতি দেখা গেল না স্থানীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকেই।

দুপুরে পান্ডুয়ার বোসপাড়া মাঠে ওই জনসভায় ছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী, সুবীর মুখোপাধ্যায়রা। সভার প্রধান আয়োজক ছিলেন ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়। দলে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আনিসুল ইসলাম, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ, বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান রহিম নবি, সঞ্জিত বন্দোপাধ্যায়দের দেখা যায়নি।

সঞ্জয় এবং আনিসুলের দাবি, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাই যাননি। পক্ষান্তরে অসিতের দাবি, ‘‘সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কেউ যদি না আসেন, আমি কী করব?’’ সভার শুরুতে মাঠ কার্যত ফাঁকা ছিল। পরে কিছু কর্মী-সমর্থক আসেন। তবে, মাঠ ভরেনি।

এই ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দল নতু‌ন নয়। মাস দেড়েক আগে আনিসুলকে সরিয়ে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব অসিতের হাতে আসার পরে ফাটল আরও চওড়া হয়। আনিসুল-সঞ্জয়রা কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন অসিতের বিরুদ্ধে। রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁরা জানিয়ে দেন, ওই পদে অসিতকে তাঁরা মানছেন না। অবিলম্বে অসিতকে না সরালে ‘নতুন ভাবনা’র কথাও জানান অনেকে। দু’পক্ষের নেতাদের একে অপরের কর্মসূচিতে গরহাজির থাকা কার্যত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর প্রতি ইঙ্গিত করে সভায় কল্যাণের হুঁশিয়ারি, ‘‘যাঁরা দলে থেকে গ্রুপ করবেন, তাঁরা হারিয়ে যাবেন। যারা দিনের বেলায় তৃণমূল করবে, রাতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবে, তাদের গ্রামে ঢুকতে দেবেন না।’’

এ ক্ষেত্রে কাদের কথা শ্রীরামপুরের সাংসদ বলতে চেয়েছেন, তা নিয়ে দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। অসিত-বিরোধী এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘উনি তো শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের প্রসঙ্গে এই কথা বিভিন্ন সভাতেই বলছেন। এ ক্ষেত্রেও নিশ্চয়ই তাই বলে থাকবেন!’’

সভায় কল্যাণ জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘‘আগামী বিধানসভা ভোটে জিতলে সারা জীবন বিনামূল্যে রেশন পাবেন আপনারা।’’ স্বভাবসিদ্ধ ঢংয়ে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে একহাত নেন তিনি। বলেন, ‘‘কোনও দিন যদি পান্ডুয়ায় দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেন, সে দিন এখা‌ন থেকে আপনাকে বেরিয়ে যেতে দেব না।’’

TMC Pandua Political Meetings
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy