পঞ্চায়েত স্তরে সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিয়ে সর্বত্রই পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ ওঠে। কোথাও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তহবিল আত্মাসাৎ, কোথাও আবার নাগরিক সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের ব্যর্থতা— এ সব অভিযোগের তালিকায় রয়েছে। ওই সব অভিযোগের সুরাহা নিয়ে প্রশাসন কী ব্যবস্থা করেছে, আদৌ করছে কি না— তারও অভিযোগকারীদের কাছে ধোঁয়াশাই থেকে যায় বছরের পর বছর। ওই অভিযোগের সুষ্ঠু নিষ্পত্তি করতে ‘পঞ্চায়েত প্রতিকার’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প চালু হচ্ছে হুগলিতে। জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক রানা বিশ্বাস বলেন, ‘‘নতুন এই প্রকল্প আগামী ১ নভেম্বর থেকেই শুরু হচ্ছে হুগলি জেলায়। অনলাইনে, টোল ফ্রি নম্বরে কিংবা লিখিতভাববে যে কোনও নাগরিক পরিষেবার ত্রুটি নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। রাজ্য, জেলা এবং ব্লক স্তরে তিনটি পৃথক কমিটি সেই অভিযোগ পাওয়ার ২-৭ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সরকারি যে কোনও প্রকল্পে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতি বা দুর্নীতির অভিযোগ কী ভাবে জানাবেন সাধারণ মানুষ, তা নিয়ে প্রচারও চালানো হবে। অভিযোগের মাধ্যমগুলি হল-টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০২০০০৮৬৪। ওয়েবসাইট www.wbisgpp.gov.in এ ছাড়াও ‘অভিযোগ প্রতিবিধান কমিটির’ কাছেও লিখিত ভাবে জানানো যাবে। পঞ্চায়েত স্তরে ওই ধরনের কমিটি না থাকলেও সংশ্লিষ্ট ব্লক স্তরের কমিটি অভিযোগগুলির নিষ্পত্তি করবে এবং প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য জানাবে। রাজ্য স্তরে কমিটিতে থাকছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি, একজন স্পেশাল সেক্রেটারি পদমর্যাদার অফিসার, ১০০ দিন কাজ প্রকল্পের রাজ্য কমিশনার-সহ বিভিন্ন দফতরের ৬ জন। জেলা স্তরে জেলাশাসক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিভিন্ন দফতরের ১৬ জন। ব্লক স্তরে ৬ জন বিডিও, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, ব্লক কৃষি আধিকারিক, ব্লক অভিযোগ প্রতিকার আধিকারিক, ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক এবং শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy