পুরসভার দাবি, মেরামতি করতে হলে আরও এক মাস রাস্তা বন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু পুলিশের পাল্টা দাবি এত দিন রাস্তা বন্ধ রাখলে যানযটের সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়বে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাস্তা খুলে দিতে হবে। আর এই দুইয়ের চাপান-উতোরে এ বারও অস্থায়ী ভাবেই মেরামতি হতে চলেছে বেলুড় থেকে হাওড়া যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা লালাবাবু সায়র রোড।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে লালাবাবু সায়র রোডের একটা অংশে ধস নামে। তৈরি হয় ছোট গর্ত। হাওড়া পুরসভার তরফে তখন বালি ও মাটি দিয়ে গর্ত বুজিয়ে প্যাচওয়ার্ক করেই রাস্তা মেরামতি করা হয়। কিন্তু ওই ‘চিকিৎসা’য় রোগ নির্মূল হয়নি। কয়েক দিন পরেই গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় আচমকাই ফের ওই জায়গার বেশ কিছুটা অংশ জুড়ে ধস নামে। ফলে রাস্তার ধারের একটি অনুষ্ঠান বাড়ির বড় গেট ভেঙে উল্টে যায়, ভেঙে যায় নর্দমাও। তৈরি হয় বড়সড় গর্ত। শুধু তাই নয়, ওই গর্ত দিয়ে নোংরা জল উঠতে শুরু করে।
এই ঘটনার পরেই অগত্যা ওই রাস্তা দিয়ে বড় গাড়ি, লরি, বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বদলে সমস্ত গাড়িকে জিটি রোড দিয়ে বেলুড় বাজার থেকে হাওড়ার দিকে পাঠানো শুরু হয়। ট্রাফিক পুলিশের অভিযোগ, এর ফলে জিটি রোডে যানজট তৈরি হচ্ছে। সব থেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে স্কুল শুরু ও ছুটির সময়। কর্তব্যরত ট্রাফিক কর্মীদের আশঙ্কা স্কুলের সময়ে জিটি রোড দ্বিমুখী হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রতি দিন সকালে ও দুপুরে জিটি রোডের লিলুয়া এলাকার স্কুলগুলির সামনে তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে। রাতেও ভারী লরি জিটি রোড দিয়ে যাতাযাত করতে গিয়ে
যানজট হচ্ছে।
হাওড়া ডিসি (ট্রাফিক) সুমিত কুমার বলেন, ‘‘প্রায় ১৫ দিন ধরে রাস্তাটি বন্ধ থাকায় খুবই সমস্যা হচ্ছে। আমরা হাওড়া পুরসভাকে বলেছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজটি শেষ করে রাস্তা খুলে দিতে।’’ অন্য দিকে পুরকর্তাদের দাবি, পুলিশের তাড়াহুড়োর জন্যই এখন আরও এক মাস রাস্তা বন্ধ করে কাজ করা সম্ভব নয়। হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) শ্যামল মিত্র বলেন, ‘‘মানুষের কথা ভেবেই আপাতত উন্নত পদ্ধতিতে অস্থায়ী ভাবে মেরামতির কাজ করে রাস্তাটি খুলে দেওয়া হবে। বৃষ্টি কমলেই সেই কাজ হবে। তবে পুজোর পরে ফের কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy