নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ তোয়াক্কা না করে বুধবার মোটর বাইক এবং অটো-টোটো নিয়ে মিছিল হয়েছিল চাঁপদানির তৃণমূল প্রার্থী মুজফফ্র খানের মনোনয়ন-যাত্রায়। কমিশনের নির্দেশ না মানায় ১২টি বাইক আটক করল পুলিশ। বুধবার দলীয় পতাকা লাগিয়ে কয়েক কিলোমাটার ধরে বাইক আর অটো-টোটো নিয়ে মিছিল করেণ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। মনোনয়ন জমা পড়ার পরে প্রশাসন নড়ে বসে। জেলাশাসক মুক্তা আর্য বাইক আটকের নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় কমিশনের তরফে মুজফফ্র-সহ তিন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় শ্রীরামপুর থানায়। এর পরেই পুলিশ বাইক ধরপাকড় করতে শুরু করেন। ১২ মোটরবাইক আটক করা হয়। তৃণমূল নেতা পিন্টু নাগ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন মূলক কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে সাধারণ মানুষ মিছিলে বাইক নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন।’’ তৃণমূল নেতা যাই বলুন না কেন, মনোনয়ন জমা দিতে আসার সময় তৃণমূলের আর কোনও প্রার্থীর হয়ে কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই ভাবে বাইক মিছিল হয়নি। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দেন চণ্ডীতলার তৃণমূল প্রার্থী স্বাতী খোন্দকার। তাঁর সঙ্গে আসা দলের নেতাকর্মীদের গাড়িতে অবশ্য দলীয় পতাকাও দেখা যায়নি। এক নেতা বললেন, ‘‘চাঁপদানির বাইক-মিছিলের পরে আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনি।’’ তবে চাঁপদানির জোটপ্রার্থী কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান অবশ্য বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘‘এতগুলো বাইক, রোড ট্যাক্স জমা না দেওয়া গাড়ি নিয়ে মিছিল হল। আর মাত্র ১২টা মোটর বাইক আটক করা হল! এটা দুর্ভাগ্যজনক। কেন প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হল না? পরিবর্তে যেটা করা হল, তা স্রেফ আইওয়াশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy