Advertisement
E-Paper

দুই কিশোরীর তৎপরতায় বিয়ে আটকাল নাবালিকার

কানাঘুষো তারা শুনছিল ক’দিন ধরেই। শনিবার তাদেরই সমবয়সী এক মেয়ের বিয়ের জন্য মণ্ডপ বাঁধা হচ্ছে দেখে গ্রামের দুই কিশোরী আর চুপ করে বসে থাকতে পারেনি। সোজা হাজির হয় থানায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৫ ০১:২০

কানাঘুষো তারা শুনছিল ক’দিন ধরেই। শনিবার তাদেরই সমবয়সী এক মেয়ের বিয়ের জন্য মণ্ডপ বাঁধা হচ্ছে দেখে গ্রামের দুই কিশোরী আর চুপ করে বসে থাকতে পারেনি। সোজা হাজির হয় থানায়। তাদেরই তৎপরতায় বন্ধ হল পাণ্ডুয়ার উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া এক ছাত্রীর বিয়ে। বছর সতেরোর ওই উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীর বাড়ি খন্যান স্টেশনের কাছে। তার বাবা রেলকর্মী। মাসখানেক আগে ছাত্রীটির বিয়ে ঠিক হয় কালনার এক যুবকের সঙ্গে। রবিবার ছিল বিয়ে। তার আগে শনিবার বিকেলে গ্রামের দুই কিশোরী বিয়ে বন্ধ করতে থানায় হাজির হয়। তারা ওসি-র সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতেই থানার এক পুলিশ অফিসার পাত্রীর বাবার কাছে গিয়ে আঠারো বছরের আগে মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে আসেন। কিন্তু পাত্রীর বাবা রাজি হননি। রবিবার সকালে পুরোদমে চলছিল বিয়ের তোড়জোড়। এসে গিয়েছিলেন অতিথিরা, পুরোহিতও। সকাল ৯টা নাগাদ থানা ও ব্লক অফিসের কর্তারা বিয়েবাড়িতে যান। ফের তাঁরা বিয়ে বন্ধের অনুরোধ জানান। তা শুনে প্রতিবাদ জানান উপস্থিত কিছু লোকজন। এর পরেই নাবালিকার বিয়ে দেওয়া যে আইনবিরুদ্ধ, সে কথা পাত্রীর বাবাকে জানান প্রশাসনের কর্তারা। এর পরেই দু’পক্ষ আপাতত বিয়ে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘দুই কিশোরী যে ভাবে এগিয়ে এসে ওই বিয়ে রুখল, তা প্রশংসা করার মতো। তাদের মতো অন্যেরাও এগিয়ে এলে নাবালিকার বিয়ে রোধ করা অনেক সহজ হবে।’’ তবে, ওই দুই কিশোরী নিজেদের পরিচয় জানাতে চায়নি। চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

marriage minor girl Two teenagers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy