Advertisement
E-Paper

মামলা থেকে নাম তুলতে নির্যাতিতা ও মাকে মারধর

জামাই ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত। সেই মামলা থেকে তার নাম তুলে নেওয়ার জন্য নির্যাতিতা এবং তাঁর মাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল অভিযুক্তের শাশুড়ির বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৬ ০১:১৪

জামাই ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত। সেই মামলা থেকে তার নাম তুলে নেওয়ার জন্য নির্যাতিতা এবং তাঁর মাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল অভিযুক্তের শাশুড়ির বিরুদ্ধে। যিনি আবার পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যও। ওই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছেন নির্যাতিতার মা।

মঙ্গলবার সকা‌লে পান্ডুয়ার নিয়ালায় ওই ঘটনা ঘটে। যদিও রেহেনা সুলতানা নামে ওই তৃণমূল নেত্রী সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। পাল্টা তিনি মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন‌ নির্যাতিতা ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল ওই মহিলার মেয়ে এবং অন্য এক আত্মীয়াকে রেহেনার জামাই-সহ গ্রামের তিন জন ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। লিখিত অভিযোগ পেয়ে তিন অভিযুক্তের মধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রেহে‌নার জামাই-সহ বাকি দুই অভিযুক্ত আদালত থেকে আগাম জামিন নেন।

নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, মঙ্গলবার তিনি মেয়েকে নিয়ে গ্রামের ব্যাঙ্কে ১০০ দিনের কাজের টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। রেহেনা দলবল নিয়ে সেখানে ঢুকে তাদের টেনে বাইরে বের করে বাঁশ দিয়ে পেটাতে থাকে। ব্যাঙ্ক থেকে তোলা কয়েক হাজার টাকাও কেড়ে নেয়। মারের চোটে তাঁর মেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাঁর দাবি, ‘‘ওদের হাতেপায়ে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকি আমাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু রেহেনা বলে, ওর জামাইয়ের নামে কেস না তুললে আমাদের খুন করে ফেল‌া হবে।’’ ওই দিনই গোটা ঘটনার কথা জান‌‌িয়ে পান্ডুয়া থানায় তিনি রেহেনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি ও কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘এমন কোনও ঘটনার খাত শুনিনি। তবে দলীয় স্তরে খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগ যখন দায়ের হয়েছে পুলিশ অবশ্যই পদক্ষেপ করবে।’’

রেহেনার অবশ্য দাবি, ‘‘মঙ্গলবার সকালে ব্যাঙ্কের সামনে গোলমাল হচ্ছে দেখে দাঁড়াই। আমি কাউকে মারিনি। আমাদের দলেরই কিছু ছেলের মদতে ওই মহিলা এবং তাঁর মেয়ে আমাকে মারধর করেন।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমাকে রাজনৈতিক ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

victim beaten
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy