হরেকৃষ্ণ চক্রবর্তী।—নিজস্ব চিত্র।
রবিবার সকালে গোঘাট থানা লাগোয়া এলাকায় গলায় মাফলারের ফাঁস দেওয়া এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। তিনি ওই থানাতেই কাজ করতেন। স্থানীয় আকতপুর-খানাটি গ্রামের বাসিন্দা হরেকৃষ্ণ চক্রবর্তী (২৬) নামে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে স্থানীয় মানুষ এবং মৃতের আত্মীয়স্বজন মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। খুনিকে শনাক্ত করতে পুলিশ কুকুর আনার দাবিতে আরামবাগ-কামারপুকুর রাস্তা অবরোধ করা হয়।
দাবি মেনে আরামবাগ থেকে এক ব্যক্তির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ আরও বাড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার। বিক্ষোভকারীদের বোঝান তিনি। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশ লাঠি চার্জ করে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। যদিও লাঠি চার্জের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল ৫টায় বাড়ি থেকে থানায় যাওয়ার জন্য বের হন হরেকৃষ্ণ। বছর খানেক ধরে থানার কমপিউটার বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তাঁর বাবার অভিযোগ, “রাতে ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। প্রতিদিন সকালে সে বাড়ি ফিরে আসত। এদিন সকালে থানা থেকে ছেলের আত্মহত্যার খবর দেওয়া হয়। গিয়ে দেখি ছেলের গলায় মাফলারের ফাঁস দেওয়ায় তবে ওটা তাঁর নয়। দেহটি হাঁটু মুড়ে মাটিতে ঠেকে ছিল। ছেলেকে কেউ খুন করেছে বলেই আমাদের সন্দেহ।’’
মৃতের পরিবারের তরফে খুন সন্দেহে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযোগে মানসিকভাবে তাঁকে নির্যাতন করা হতো বলে দুজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy