হুগলিতে পঞ্চায়েত এলাকায় পিএইচই পানীয় জল সরবরাহ হস্তান্তর করে দিয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েতের হাতে দায়িত্ব যাওয়ার পর থেকেই জল নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষজন।
যেমন, মার্চ মাসের মাঝামাঝি পাম্ডুয়া পঞ্চায়েতে বোসপাড়া এলাকায় একটি পাম্প বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে ওই পঞ্চায়েত এলাকার ৮টি গ্রামের প্রায় ১২-১৫ হাজার মানুষ পানীয় জল পাচ্ছেন না। পানীয় জলের জন্য মঙ্গলবার ফের পান্ডুয়ায় জিটি রোড অবরোধ করেন বোসপাড়ার কিছু গ্রামবাসী। জলের সমস্যা শুধু এই পঞ্চায়েতে নয়। এই সমস্যা দেখা দিয়েছে নিয়ালা-ক্ষীরকুণ্ডি-নমাজগ্রাম, বাঁধগড়া, শিখিরা-চাপতা পঞ্চায়েত এলাকায়ও।
কেন এই হাল? প্রশান সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দিতে পঞ্চায়েতগুলি সংযোগ, সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছে। সংযোগ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পঞ্চায়েতগুলি মানুষের কাছ থেকে টাকা নিতে পারবে। কিন্তু রিজার্ভার, বোরিং, পাম্প হাউসের দায়িত্ব পিএইচই-র।
তা হলে পিএইচই পান্ডুয়ার বিকল পাম্প সারাচ্ছে না কেন? পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান অভিজিত রায় বলেন, ‘‘পিএইচই আমাদের সহযোগিতা করছে না। পঞ্চায়েতের হাতে টাকা থাকলে পাম্প সারিয়ে দিতাম।’’ পিএইচই-র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যেই ১৭টি পঞ্চায়েতকে পানীয় জল সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে জেলার সব পঞ্চায়েতকেই পানীয় জল সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হবে। ঠিক মতো পরিকাঠামো না গড়ে কেন দায়িত্ব হস্তান্তর করা হল? সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ২০ থেকে ২৫ মার্চ বিভিন্ন পঞ্চায়েতকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পান্ডুয়ার বিকল পাম্প কয়েক দিনের মধ্যেই সারানোর হয়ে যাবে। আশা করছি উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে আগামী এক বছরের মধ্যে এই জেলার প্রতিটি গ্রামের ঘরে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। সমস্যা আর থাকবে না।’’