সন্ধান: ডোমজুড়ের কারখানা থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলের খোল। ছবি: সুব্রত জানা
মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে শুক্রবার বিকেলে বারুইপুর স্টেশনের কাছে ধরা পড়েছিল তিন দুষ্কৃতী। তাদের জেরা করে হাওড়ার ডোমজুড়ে হদিস মিলল অস্ত্র কারখানার।
ডোমজুড়ের ওই অস্ত্র কারখানায় শুক্রবার রাতেই হানা দেয় বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ। উদ্ধার হয় তিনটি ৭ এমএম পিস্তল, তৈরির কাজ শেষ হয়নি এমন ১১টি পিস্তল এবং ১৫টি ম্যাগাজিন। এ ছাড়াও, পাওয়া গিয়েছে ১২টি ড্রিল মেশিন, ৮টি লেদ মেশিন, ৪টি পালিশ করার যন্ত্র-সহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ। বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘অস্ত্র ব্যবসায়ীকে জেরা করে হাও়ড়ার কারখানার হদিস মিলেছে।’’
পুলিশ সুত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে বারুইপুর থেতে পুলিশ যে তিন জনকে ধরে, তাদের মধ্যে জিয়ারুল শেখ নামে একজন পুলিশি জেরায় ডোমজুড়ের অস্ত্র কারখানার কথা স্বীকার করে। রাতেই বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস এবং ডোমজুড় থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি ঘরে চলত অস্ত্র কারখানা। সাহেব আলম ও কালাম মহম্মদ নামে বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা দুই পিস্তল কারিগর বছরখানেক আগে এ রাজ্যে এসে জিয়ারুলের সঙ্গে হাত মেলায়। ডোমজুড়ের ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে পিস্তল তৈরির কারখানা ফেঁদে বসে তারা। কালাম ঠিক করত অস্ত্র কোথায় বিক্রি করা হবে। জিয়ারুল যেত অস্ত্র সরবরাহ করতে। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ধৃতদের জেরা করে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy