সময় যত গড়িয়েছে ততই শহরটা ঘিঞ্জি হয়েছে। পুরপ্রধান হলে পার্কিং স্পেস-এর কথা ভাবতাম। নিকাশি ব্যবস্থা সর্বত্র ভাল নয়। একে ঢেলে সাজা দরকার। শহরে নতুন বািড়, আবাসন নির্মাণের ক্ষেত্রে যাতে যথাযথ আইন মেনে অনুমতি দেওয়া সেই বিষয়টি নিশ্চিত করব। শহরে হাঁফ ছাড়ার জায়গার খুবই অভাব রয়েছে। ছোটদের খেলাধূলার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা কম। তাই পুরপ্রধান হলে পার্ক তৈরির দিকে নজর দেব। হাসপাতাল হয়তো রয়েছে। কিন্তু উন্নত মানের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি। এর জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেব। শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরকর্মীদের পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন করা হবে।
কমলেশচন্দ্র পাঠক (বিশিষ্ট চিকিৎসক)
সাধারণ নাগরিক, পুরকর্মী, কাউন্সিলারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে পুর এলাকার যাবতীয় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে পুরসভার আয় বাড়ানোর চেষ্টা করব। ঐতিহ্যপূর্ণ টাউন হলের সৌন্দ্যর্যায়ন এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তুলব অবিলম্বে। অটো, টোটো এবং রিকশাচালকদের মধ্যে সংঘর্ষ রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ যাত্রী সকলেই সমস্যায় পড়ছেন। তিনপক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করব। স্টেশন সংলগ্ন রাস্তার দুধার চলে গিেয়ছে হকারদের দখলে। হাঁটচলা করাই দায়। ওই রাস্তা পুরোপুরি হকারমুক্ত করা হবে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে।
সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ (অধ্যক্ষ, বিদ্যাসাগর টিচার ট্রেনিং কলেজ।
শহরে সবুজের বড়ই অভাব। শহর জুড়ে যত বেশি করে পারব গাছ লাগাব। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে মানুষকে আরও সচেতন করে তুলব। কোথাও যাতে পানীয় জলের অভাব না থাকে সে দিকে নজর দেব। রাস্তা ভীষণ যানযট। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে নিত্যযাত্রী, বিশেষ করে বয়স্কদের চলাফেরা করতে খুবই অসুবিধা হয়। ফুটপাথ দখলের ফলেই এই অবস্থা। এই সব সমস্যার সমাধান করব। পাশপাশি রাস্তার সংস্কারও জরুরি। সংক্রামক ব্যাধি যাতে না ছড়ায় সে দিকে নজর দেব। প্রয়োজনে চিকিৎসকদের নিয়ে দল তৈরি করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করব।
মিঠু মৈত্র (প্রধান শিক্ষিকা, মাহেশ পরমেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।)
বেকারত্বের দেশে হকারদের পাশে অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। কিন্তু তা কখনওই স্থায়ী দোকান বা পথচারীদের চলাফেরা করার অধিকার কেড়ে নয়। ফুটপাথ দখল হলে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়বে। এই সমস্যা যাতে দূর হয় সে জন্য পুরপ্রধান হিসাবে উপযুক্ত পদক্ষেপ করব। ছোটো বা মাঝারি ব্যবসায়ীরা বৃহৎ পুঁজিপতি, অন লাইন ব্যবসার যাঁতাকলে আজ মৃত্যুমুখে। পুরসভার পক্ষ থেকে কর কমিয়ে সেই সব ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। যে ভাবে এলাকায় একের পর এক জলাভূমি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে তা পরিবেশের ভারসাম্যের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক। আর যাতে শহরে একটিও জলাশয় ভরাট না হয় পুরপ্রধান হিসাবে সে দিকে কড়া নজর দেব।
সুব্রত বসু (শ্রীরামপুর কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি)
রাস্তাঘাটের মান আগের চেয়ে ভাল হয়েছে। যেগুলি খারাপ রয়েছে সেগুলির সংস্কার করব। সরকারি জমি যাতে জবরদখল না হয় সেদিকে নজর দেব। ঝুপড়ি বা হকার উচ্ছেদ করা হবে আলোচনার মাধ্যমে। বহুতলগুলি যাতে পুরসভার অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী গড়ে তোলা হয় তা নিশ্চিত করব। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও বহু খেলোয়াড় অর্থ, পরিকাঠামোগত সাহায্যের অভাবে অকালে নষ্ট হয়। পুরপ্রধান হিসাবে এঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। নাগরিকরা যদি ভাল কাজ করেন বা কোনও ক্ষেত্রে সাফল্য পান সে ক্ষেত্রে তাঁরা যাতে উপযুক্ত স্বীকৃতি পান পুরসভার পক্ষ থেকে সেই ব্যবস্থা করা হবে। খেলাধূলার মানোন্নয়নে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার দিকে নজর দেব।
দিলীপ ভট্টাচার্য (পর্যটক, কখনও হেঁটে, কখনও সাইকেলে দেশ-বিদেশ ঘুরেছেন)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy