পর পর তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। এই ‘অপরাধে’ ভদ্রেশ্বরের চাঁপদানি কলাবাগান এলাকার গৃহবধূ সীমা মালাকারকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ শ্বশুরবাড়ির ১০ জনের বিরুদ্ধে। তবে, তাঁর স্বামী মুকেশ মালাকার ঘটনায় অভিযুক্ত নন।
বৃহস্পতিবার মারধরে গুরুতর জখম সীমাদেবীকে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করান পড়শিরা। তাঁর বাবা বিজয় ভগত থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সীমাদেবী বলেন, ‘‘পর পর তিন মেয়ের জন্ম দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই আমার উপর অত্যাচার চলত। ইদানীং অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে। স্বামী যখন থাকে না, তখনই ওরা মারধর করত। মেয়েরা কান্নাকাটি করলে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলত ওরা।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১১ সালের মার্চে হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা সীমাদেবীর সঙ্গে মুকেশের বিয়ে হয়। পরের বছর প্রথম কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সীমাদেবী। ২০১৩ সালে তাঁর দ্বিতীয় মেয়ে জন্মায়। ২০১৫ সালে তৃতীয় সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। অভিযোগ, তার পর থেকেই সীমাদেবীর উপরে অত্যাচার শুরু হয় শ্বশুরবাড়িতে। মুকেশকেও স্ত্রী ও মেয়েদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সীমাদেবী বেঁকে বলায় বৃহস্পতিবার মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy