মিষ্টির দোকানে আ়ড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মদ বিক্রির অভিযোগ ছিলই। শুক্রবার রাতে ওই মিষ্টির দোকান ভাঙচুর করলেন আরামবাগের পুইন গ্রামের মহিলারা। দোকান থেকে দেশি এবং বিলিতি মদের খান কুড়ি বোতল উদ্ধার করে নষ্ট করা হয়। পুলিশ জানায়, দোকানদার স্বপন কর্মকারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টা আবগারি দফতরকেও জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই মিষ্টির দোকান থেকে দেশি এবং বিলেতি মদ বিক্রির অভিযোগ ছিল। মাস কয়েক আগে ওই গ্রামে আবগারি দফতরের ধারাবাহিক অভিযানের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে চোলাই মদের ঠেকগুলি। ফলে সন্ধ্যা হলেই ওই মিষ্টির দোকানে ভিড় উপচে পড়ছিল মদের খদ্দেরদের। আর মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে অশান্তির জেরে ক্ষোভ বাড়ছিল এলাকার মহিলাদের।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ হাতে লাটি নিয়ে ওই মিষ্টির দোকানে চড়াও হন জনা তিরিশ মহিলা। মারধর করা হয় দোকানদার স্বপনবাবুকে।
অভিযানে সামিল বাসন্তী মালিক, কাকলি দাস, শিপ্রা রায়ের অভিযোগ, ‘‘১০০ দিনের কাজ বা অন্য দি নমজুরি করে যে আয় হয় তার অধিকাংশটাই মদে চলে যায়। আর তা নিয়েই নিত্য অশান্তি। দোকানদারকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বলা হয়েছিল। কেউ কিছু না করায় আমরাই দোকান ভেঙেছি।’’
পুইন গ্রামের তৃণমূল নেতা তথা তিরোল পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান কাজি নিজামুদ্দিন বলেন, “আবগারি দফতর এবং পুলিশের সহযোগিতায় চোলাই বিক্রি বন্ধ হয়েছে। তবে ওই মিষ্টির দোকান থেকে মদ বিক্রির কোনও অভিযোগ পাইনি।’’ আর আবগারি দফতরের আরামবাগ শাখার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাস কয়েক আগে তিরোল সংলগ্ন শিয়ালি গ্রামেও একটি দোকান থেকে মদ বিক্রির অভিযোগে নারায়ণ কুণ্ডু নামে দোকানের মালিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।