টিএমসিপির রাজ্য সভানেত্রীর সঙ্গে কলেজে এসে দলেরই ছাত্রদের হাতে হেনস্থা হলেন হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে হরিপালের বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে। বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
টিএমসিপি সূত্রের খবর, সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে আগামী ২৬ অগস্ট কলকাতায় ছাত্র সমাবেশের প্রস্তুতি সভা করতেই এ দিন হুগলিতে আসেন রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত। প্রথমে তিনি আরামবাগ কলেজে যান। সেখান থেকে কামারপুকুর কলেজ, তারকেশ্বর ডিগ্রি কলেজ হয়ে হরিপাল কলেজে আসেন বিকেল ৫টা নাগাদ। জয়ার সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূল নেতা মনোজবাবু।
কলেজ থেকে বোরনোর সময় এক দল ছাত্র মনোজবাবুকে ঘিরে ধরেন। দীর্ঘ দিন আগে ছাত্র রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি কলেজে আসছেন, কেনই বা ছাত্রদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, এই প্রশ্ন তুলে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। প্রতিবাদ করায় রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি করা হয়। বেগতিক বুঝে তিনি গাড়িতে উঠে পড়েন। তাঁর গাড়িতে চাপড় মারা হয়। তার পরে তিনি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান।
মনোজবাবু বলেন, ‘‘দলেরই কিছু লোক গোলমাল পাকানোর জন্য প্ররোচনা দিচ্ছিল। কিন্তু অশান্তি এড়ানোর জন্য সেই ফাঁদে পা না দিয়ে ফিরে আসি।’’ মনোজবাবু দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তৃণমূল শিবিরের খবর, গোষ্ঠী বিভাজনের জেরে হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার অনুগামীরাই তাঁকে হেনস্থা করেন। মনোজের কথায়, জেলা সভাপতি তপনবাবুর নির্দেশেই তিনি টিএমসিপির রাজ্য সভানেত্রীর সঙ্গে কলেজে গিয়েছিলেন।
জয়া অবশ্য বলেন, ‘‘হরিপাল কলেজে আমার সঙ্গে মনোজবাবু এবং বেচারামবাবু ছিলেন। কিন্তু কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা তো ঘটেনি।’’ কলেজের ছাত্র সংসদের সভাপতি সুমিত সরকারও বলেন, ‘‘কিছুই ঘটেনি। সব কিছু স্বাভাবিক ছিল।’’ বেচারামবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy