মৃত চন্দন সিংহ (২০)। —ফাইল চিত্র।
একটি বিষয়ের মীমাংসার জন্য ডেকে সেখানেই এক যুবককে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল আর একদল যুবকের বিরুদ্ধে। যুবকটিকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন তাঁর এক সঙ্গীও। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার লিলুয়া উড়ালপুলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম চন্দন সিংহ (২০)। তাঁর বাড়ি লিলুয়ার পটুয়াপাড়ায়। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে লিলুয়া রেল কলোনিতে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন কয়েক জন যুবক। তার কিছু ক্ষণ আগেই বৃষ্টি হয়ে যাওয়ায় রাস্তায় জল জমে ছিল। মোটরবাইকের চাকা থেকে সেই জল ছিটকে লাগে দুই যুবকের গায়ে। এই ‘অপরাধে’ মোটরবাইক চালক চন্দন সিংহকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় ওই দুই যুবক ও তাদের সঙ্গীরা। ঘটনার পরে লিলুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চন্দন।
পুলিশ জানায়, এ দিন ওই যুবকেরা বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চন্দনকে ফোন করে লিলুয়া উড়ালপুলে ডেকে পাঠায়। চন্দন তাঁর এক আত্মীয় ছোটু পাণ্ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তখন অপেক্ষা করছিল চার-পাঁচ জন যুবক। চন্দনেরা যাওয়ার পরে দু’তরফে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন চন্দন ও ছোটুকে মারধর শুরু করে ওই যুবকেরা। তার পরে আচমকাই ভোজালি বার করে চন্দনকে কোপাতে থাকে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ছোটুও। ভোজালির আঘাতে ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন চন্দন। এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাওড়া জয়সওয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে ছোটু পরে বলেন, ‘‘শত্রুতার জেরেই এ ভাবে খুন করা হল চন্দনকে।’’ এ দিকে, দিনের বেলায় এমন ঘটনার পরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। হাওড়া সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) অমিতকুমার রাঠৌর বলেন, “এক যুবককে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তেরা শীঘ্রই ধরা পড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy