Advertisement
E-Paper

অভিযানের শুরুতেই দুই হোটেল পুরসভার জালে

অবৈধ হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে প্রথম দিনেই হাওড়া স্টেশনপাড়ার দু’টি হোটেলের বেআইনি অংশ বন্ধ করে নোটিস ঝুলিয়ে দিল হাওড়া পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, এর মধ্যে একটি হোটেল আবগারি দফতরের বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই চার বছর ধরে পানশালা চালাচ্ছিল। আর একটি আটতলা হোটেলের উপরের ৩টি তলা পুর-বিল্ডিং দফতরের অনুমতি না নিয়ে অবৈধ ভাবে তৈরি হয়েছিল বলে পুরসভার অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৪ ০১:১৪

অবৈধ হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে প্রথম দিনেই হাওড়া স্টেশনপাড়ার দু’টি হোটেলের বেআইনি অংশ বন্ধ করে নোটিস ঝুলিয়ে দিল হাওড়া পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, এর মধ্যে একটি হোটেল আবগারি দফতরের বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই চার বছর ধরে পানশালা চালাচ্ছিল। আর একটি আটতলা হোটেলের উপরের ৩টি তলা পুর-বিল্ডিং দফতরের অনুমতি না নিয়ে অবৈধ ভাবে তৈরি হয়েছিল বলে পুরসভার অভিযোগ।

হাওড়ার হোটেলে তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে ম্যানেজারকে মারধর ও হুমকি ফোনের পরে হোটেল-মালিকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হওয়ায় হাওড়া পুরসভা শহরের হোটেলগুলি সর্ম্পকে খোঁজখবর শুরু করে। জানা যায়, শহরে ১৫০টি হোটেল থাকলেও পুরসভায় নথিভুক্ত লাইসেন্স প্রাপ্ত হোটেলের সংখ্যা মাত্র ১২। এই তথ্য জানতে পেরেই অবৈধ হোটেলগুলির বিরুদ্ধে অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল শাসিত নতুন পুরবোর্ড। বুধবার হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী জানান, হাওড়া শহরে চলা এই বেআইনি হোটেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে। হাওড়ার পুর-কমিশনারের নেতৃত্বে একটি দল শীঘ্রই অভিযান করবে।

এমনিতেই হাওড়া স্টেশন চত্বরে হোটেলগুলিকে কেন্দ্র করে চলা অবৈধ কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে শহরের ১৫০টি হোটেলের মধ্যে ছোট-বড়-মাঝারি মিলিয়ে ৪০টির কাছাকাছি হোটেল রয়েছে স্টেশন এলাকায়। অভিযোগ, গত ৩০ বছরে ব্যাঙের ছাতার মতো হোটেল গজিয়ে উঠলেও প্রশাসন বা পুরসভার কোনও নজরদারি ছিল না। যার ফলে গোটা স্টেশন এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছিল বেআইনি হোটেলের রমরমা।

বেআইনি হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার বিষয়ে মেয়রের ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাওড়ার পুর-কমিশনার নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মেয়র পারিষদ (নিকাশি) শ্যামল মিত্র, মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) গৌতম চৌধুরী এবং বিল্ডিং ও লাইসেন্স দফতরের অফিসারদের নিয়ে একটি দল গঠিত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে দলটি পুলিশ নিয়ে হাওড়া স্টেশনপাড়ারই তিনটি হোটেলে হানা দেয়।

হোটেলগুলির কর্তৃপক্ষের কাছে লাইসেন্স-সহ বিল্ডিং-এর নকশা, পুরসভার অনুমোদন ও আবগারি দফতরের লাইসেন্স দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনটির মধ্যে দু’টি হোটেল বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পুর-কমিশনার বেআইনি অংশগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। হোটেলপাড়ায় পুরসভার এই তল্লাশি নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

এ দিন কয়েক ঘণ্টা তল্লাশির পরে হাওড়ার পুর-কমিশনার বলেন, “শহরে যে সব অবৈধ হোটেল চলছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। একটি হোটেলের বার-লাইসেন্স না থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর একটি হোটেল বেআইনি ভাবে নির্মাণকাজ করায় হোটেলটির উপরের তিনটি তলা তালা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।” পুর কমিশনার জানান, শুধু এই তিনটি হোটেল নয়। অবৈধ হোটেলের বিরুদ্ধে এই অভিযান হাওড়া শহর জুড়ে চলবে।

howrah illegal hotels southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy