Advertisement
E-Paper

অশ্লীল ছবির ভয় দেখিয়ে পণ আদায়ের চেষ্টা

প্রেমিকার অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিয়েতে বাধ্য করে প্রেমিক। বিয়ের পরেই শুরু হয় পণের জন্য অত্যাচার। ফের অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে বাপের বাড়ি থেকে তিন লক্ষ টাকা আনার জন্য মারধর করা হতে থাকে বধূকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:০৪

প্রেমিকার অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিয়েতে বাধ্য করে প্রেমিক। বিয়ের পরেই শুরু হয় পণের জন্য অত্যাচার। ফের অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে বাপের বাড়ি থেকে তিন লক্ষ টাকা আনার জন্য মারধর করা হতে থাকে বধূকে। প্রতিবাদ করলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খানাকুলের ওই বধূ অভিযোগ করার পরেও গড়িমসি করে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর করে বধূর শাশুড়িকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসী।

এ দিন দুপুরে খানাকুলের সাতপইঠা গ্রামে ওই ঘটনার পরে বিকেলে শ্বশুরকে গ্রামেরই একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসডিপিও (আরামবাগ) শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, “বধূ নির্যাতনের ঘটনায় শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বামী পলাতক। তার খোঁজ চলছে।” ধৃত শ্বশুরের অবশ্য দাবি, বধূ নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর সঙ্গে সাতপইঠার ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বছর দেড়েক আগে। তরুণীর বাবার অভিযোগ, “মেয়ের অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ওর প্রেমিক কিছু অশ্লীল ছবি তুলে রেখে ভয় দেখাচ্ছিল, সেই ছবি দেখিয়ে মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেবে।” পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে বছরখানেক আগে ওই যুবকের সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে দেন তিনি। মেয়েকে আট ভরি সোনা এবং জামাইকে একটি মোটর সাইকেলও দেন। কিন্তু বিয়ের মাস দু’য়েক পর থেকেই মেয়েকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে শ্বশুরবাড়ি।

তরুণীর অভিযোগ, তিন লক্ষ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল শ্বশুরবাড়ি। তিনি বলেন, “বাবা টাকা দিতে না পারায় ফের আমার নোংরা ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করার হুমকি দিচ্ছিল স্বামী। গত ২৪ জানুয়ারি ফের ওরা টাকার প্রসঙ্গ তুললে আমি প্রতিবাদ করি। এর পর স্বামী এবং শ্বশুড়-শাশুড়ি আমার চুল অর্ধেক কেটে দেয়। গোপনাঙ্গে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয় স্বামী। দা’য়ের কোপে আমার চোখের উপরে কেটে যায়। রাতেই আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় ওরা।” ঘটনার পরদিন ২৫ জানুয়ারি খানাকুল থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন তরুণীর বাবা। আহত তরুণীকে প্রথমে ভর্তি করা হয় খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে তাঁকে আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে রিপোর্ট অনুযায়ী তরুণীর বাঁ হাতের তালু ছাড়া শরীরের অন্য কোথাও পোড়ার চিহ্ন মেলেনি। কপালের নীচে একটি পুরনো ক্ষত পাওয়া গিয়েছে।

khanakul girlfriend dowry
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy