এক চিকিৎসকের উপরে হামলা এবং হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে, কুলতলির জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে।
পুলিশ এবং হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় জালাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের সদস্য অসীম হালদার তাঁর স্ত্রী সুভদ্রাদেবীকে নিয়ে জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সুভদ্রাদেবীও জালাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। সে সময়ে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনিন্দ্য ঘোষ দু’জন গুরুতর অসু্স্থ রোগীকে দেখছিলেন। তিনি অসীমবাবুকে শুক্রবার আউটডোরে আসতে অনুরোধ করেন। এরপর ওই তৃণমূল নেতা তাঁর স্ত্রীকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন।
অভিযোগ, এর ঘণ্টাখানেক পরে ৩০-৩৫ জন লোক নিয়ে হাসপাতালে এসে অনিন্দ্যবাবুর উপরে চড়াও হন অসীমবাবু। তাঁকে মারধর করা হয়। হাসপাতালেও ভাঙচুর চালানো হয়।
এরপর অনিন্দ্যবাবু বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ কুলতলি থানায় অসীমবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে ওই রাতেই কুলতলি থেকে অসীমবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অনিন্দ্যবাবুর দাবি, ‘‘অসীমবাবুর স্ত্রী জ্বর এবং বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। কিন্তু আমি তখন দু’জন কীটনাশক খাওয়া রোগীকে দেখছিলাম। চাপ থাকার জন্যই আমি ওঁদের শুক্রবার আউটডোরে দেখিয়ে নিতে বলি। কিন্তু তার কিছু পরেই তিনি দলবল নিয়ে এসে আমাকে মারধর করে এবং হাসপাতালে ভাঙচুর করেন।’’
যদিও কুলতলির তৃণমূল প্রার্থী গোপাল মাঝির পাল্টা দাবি, ‘‘সুভদ্রাদেবীর শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। তবু ওই চিকিৎসক বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে তাঁকে আউটডোরে দেখাতে বলেন। এই ঘটনার খবর পেয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়ে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’ গোপালবাবু জানান, পুলিশ এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে তাঁরা অনিন্দ্যবাবুর বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, দু’পক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অসুস্থ পড়ুয়া। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ল বসিরহাটের একটি মাদ্রাসার কয়েকজন পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালের। অসুস্থদের মধ্যে ২৪ জনকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এ দিন দুপুরে স্বাস্থ্য দফতরের দু’টি দল ওই মাদ্রাসায় যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy