Advertisement
E-Paper

চোর-চক্র ধরাল গুটখার পিক

প্রতিটি চুরিই হচ্ছিল ফাঁকা বাড়ি কিংবা স্কুলে। আবার প্রতিটি ক্ষেত্রেই দু’টি ‘কমন’ চিহ্ন রেখে যাচ্ছিল চোরের দল গুটখার পিক-প্যাকেট ফেলা ও প্রাতঃকৃত্য সেরে যাওয়া। কয়েক মাস ধরে বালি থেকে বটানিক্যাল গার্ডেনে ফাঁকা বাড়ি, স্কুলে তালা ভেঙে মালপত্র লোপাট করে দিচ্ছিল এই চোরেরা। শেষমেশ গোয়েন্দা বিভাগের কয়েক জন অফিসারকে চোর ধরার বিশেষ দায়িত্ব দেন হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা।

দেবাশিস দাশ ও শান্তনু ঘোষ

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৪৯

প্রতিটি চুরিই হচ্ছিল ফাঁকা বাড়ি কিংবা স্কুলে। আবার প্রতিটি ক্ষেত্রেই দু’টি ‘কমন’ চিহ্ন রেখে যাচ্ছিল চোরের দল গুটখার পিক-প্যাকেট ফেলা ও প্রাতঃকৃত্য সেরে যাওয়া। কয়েক মাস ধরে বালি থেকে বটানিক্যাল গার্ডেনে ফাঁকা বাড়ি, স্কুলে তালা ভেঙে মালপত্র লোপাট করে দিচ্ছিল এই চোরেরা। শেষমেশ গোয়েন্দা বিভাগের কয়েক জন অফিসারকে চোর ধরার বিশেষ দায়িত্ব দেন হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা।

পুলিশ জানায়, গুটখা ও প্রাতঃকৃত্য এই দুই চিহ্নের সূত্র ধরেই শুক্রবার রাতে বালি স্টেশন থেকে তিন চোরকে ধরেন তাঁরা। উদ্ধার হয় চোরাই মাল-সহ একটি দেশি পিস্তল। তবে কয়েক জন চোর পালায় বলেই দাবি পুলিশের।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে দেখা যায় গত বছর চ্যাটার্জীহাট থানা এলাকার একটি ফাঁকা বাড়িতে চুরির ঘটনায়ও গুটখার পিক ও প্রাতঃকৃত্যের চিহ্ন ছিল। তখন রিষড়ার বাসিন্দা মুন্না সাউ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গোয়েন্দারা জানতে পারেন চুরির জায়গায় গুটখার পিক ফেলা ও প্রাতঃকৃত্য করা মুন্নার দলের স্বভাব। ওই দলের কয়েক জন যুবক চুরি করতে গিয়ে এক ধরনের নেশা করে। আর তার পরেই প্রাতঃকৃত্য করে চম্পট দেয়। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, রিষড়া, ভদ্রেশ্বর এলাকায় বিচরণ আছে ওই দলের। পাশাপাশি গোলাবাড়ির বাসিন্দা চোরাই মালের ‘রিসিভার’ গঙ্গাপ্রসাদ পোদ্দার নামে এক ব্যক্তির উপরেও শুরু হয় নজরদারি।

গোয়েন্দারা জানতে পারেন, বালি থেকে বটানিক্যাল গার্ডেন পর্যন্ত এলাকায় প্রতি দিন কয়েক জন যুবক ইতস্তত ঘুরে বেড়িয়ে বিভিন্ন বাড়ির উপর নজর রাখতো। বাড়ির পরিচারকদের সঙ্গেও আলাপ জমিয়ে ফাঁকা বাড়ির খোঁজ জোগাড় করত। ওই দলের সঙ্গে এক ফেরিওয়ালার যুক্ত থাকার কথাও জানা গিয়েছে। ধৃত তিন চোরের মধ্যে দলের পান্ডা মুন্নার শ্বশুরবাড়ি বালিতে। ফলে স্থানীয়দের থেকে ফাঁকা বাড়ি-স্কুলের খবর সে পেয়ে যেত।

শুক্রবার গোয়েন্দারা বালি স্টেশনে হানা দিয়ে মুন্না-সহ তিন জনকে ধরে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই দলের কেউ ভাল ছাদে উঠতে, কেউ গ্রিল কাটতে, কেউ আবার চুরি করতে গিয়ে নিশ্চিন্তে কাঁচা খাবার রান্না করায় দক্ষ ছিল।

thief racket tobacco debashish das santanu ghosh southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy