রাতের অন্ধকারে অপরিচিত জনা কয়েক যুবককে গ্রামের দু’প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল গ্রামবাসীর। জিজ্ঞাসাবাদে সদুত্তর না মেলায় চার জনকে ধরে উত্তমমধ্যম দেন তাঁরা। সেই ফাঁকেই এক জন ছর্রা ছুড়লে এক গ্রামবাসীর পায়ে লাগে। পুলিশ গিয়ে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। জখম এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার, চার রাউন্ড গুলি এবং চারটি তাজা বোমা মিলেছে। শনিবার এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরের চাঁপসড়ায়।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম মহম্মদ সাহেব, দিলীপ কুমার খাটাওয়াল এবং শারওয়ান কুমার খাটাওয়াল। তিন জনেই ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা। রবিবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার বলেন, ‘‘ঠিক কী কারণে দুষ্কৃতীরা ওই গ্রামে জড়ো হয়েছিল, তা দেখা হচ্ছে। এক দুষ্কৃতী পালায়। তার খোঁজ চলছে। ওই দলে আরও কেউ ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ একটি মোটরবাইকে চেপে তিন দুষ্কৃতী গ্রামে ঢোকে। তাদের কাছে একটি কালো ব্যাগ ছিল। গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে এক দুষ্কৃতী জানায়, তারা ‘বাপিদার বাড়ি যাবে’। গ্রামবাসীরা জানান, ওই নামে সেখানে কেউ থাকেন না। এর পরে এক দুষ্কৃতী ফোন করার ভান করে কিছুটা এগিয়ে যায়। তার পরে দৌড়ে পালায়। তা দেখেই গ্রামবাসীরা অপর দু’জনকে ধরে ফেলে। তাদের ব্যাগ হাতড়ে চারটি বোমা মেলে। এর পরেই শুরু হয় মার। গ্রামে দুষ্কৃতী হানা দিয়েছে বলে চাউর হতেই দলে দলে গ্রামবাসী ভিড় করেন। শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত দাসও বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়।
ইতিমধ্যে খবর রটে যায়, গ্রামের অন্য প্রান্তে ‘গুলি চলেছে’। সেই খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখে, দুই দুষ্কৃতীকে ধরে জনতা পেটাচ্ছে। দুষ্কৃতীদের এক জনের কাছে একটি ওয়ান শটার ছিল। অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতী মাটির দিকে একটি ছর্রা ছুড়লে তা ছিটকে এক গ্রামবাসীর পায়ে লাগে। তাতে গ্রামবাসীরা আরও ক্ষেপে যান। পরিস্থিতি আঁচ করে শ্রীরামপুর থানার আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি ঘটনাস্থলে আসেন। জনতার হাত থেকে দুই দুষ্কৃতীকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রহৃত এক দুষ্কৃতীকে শ্রীরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অপর জনকে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy