প্রকাশ্য রাস্তায় খোদ পুলিশ অফিসারকে মারধর করে ছিনতাই করল দুষ্কৃতীরা।
রবিবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ব্যাঁটরা থানার নেতাজি সুভাষ রোডে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রাতে দাশনগর থানা থেকে ডিউটি সেরে মোটরবাইকে ফিরছিলেন সাব-ইনস্পেক্টর সরফরাজ আলম। নেতাজি সুভাষ রোডে তাঁর বাড়ির কাছে একটি রেস্তোরাঁর সামনে চার-পাঁচ জন মত্ত যুবক সরফরাজের পথ আটকায়। তারা ওই অফিসারকে মারধর করে তাঁর ঘড়ি, মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনতাই করে। কিন্তু সরফরাজ দ্রুত স্থানীয় থানায় ফোন করে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি মোবাইল ভ্যান এসে ওই দুষ্কৃতীদের তাড়া করে দু’জনকে ধরে ফেলে। পুলিশ জানায়, সতীশ যাদব ও রাজু সাউ নামে ধৃত ওই দু’জন স্থানীয় শ্রীবাস দত্ত লেনের বাসিন্দা। বাকিরা অবশ্য পালিয়ে যায়।
কিন্তু প্রকাশ্য রাস্তায় এক জন পুলিশ অফিসারের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা কার্যত সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এ ছাড়া, প্রশ্ন উঠেছে, নেতাজি সুভাষ রোডের মত জনবহুল অঞ্চলে এমন ঘটলই বা কী করে?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ছুটির দিনে রাস্তায় লোক চলাচল কিছুটা কম থাকলেও ঘটনার সময়ে খোলা ছিল রেস্তোরাঁটি। সেখানকার এক কর্মী বলেন, “ওই সাব ইনস্পেক্টর ছিলেন সাদা পোশাকে। তাঁর সঙ্গে অস্ত্র না থাকলেও মোটরসাইকেলে ‘পুলিশ’ লেখা ছিল। তা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরে গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে মানিব্যাগ, ঘড়ি ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।” পুলিশ জানায়, ওই অফিসার নিজের পরিচয় দেওয়ার পরেও দুষ্কৃতীরা রেহাই দেয়নি। তাঁকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে হাঁটতে হাঁটতে চলে যায়। এ দিকে, পড়ে গিয়ে হাতে গুরুতর চোট পান সরফরাজ। ওই অবস্থাতেই তিনি বিষয়টি স্থানীয় থানায় জানান।হাওড়ার পুলিশ কমিশনার অজেয় রানাডে বলেন, “ওই যুবকেরা মত্ত এবং সশস্ত্র ছিল। ছিনতাইয়ের উদ্দেশেই তারা আক্রমণ করে। দু’জনকে ধরা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এলাকায় পুলিশের টহলদারি বাড়ানো হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy