Advertisement
E-Paper

জোয়ার এলে নড়তে থাকে সেতু, খাল পেরোতে ভরসা তখন নৌকা

কংক্রিটের পিলার দূরঅস্ত, যে গুটিকয় কাঠের খুঁটির উপরে সেতু দাঁড়িয়ে রয়েছে সেগুলিও এতই নড়বড়ে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তার উপর জোয়ার এলে তো কথাই নেই। তখন পারাপারে ভরসা নৌকাই। সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রের খবর, হাওড়ার সাঁকরাইল এ কন্যামনি এলাকার মধ্যে বড়জোড়া খালের উপর কয়েক দশক আগে কাঠের সেতু তৈরি করে সেচ দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৪ ০৩:১৪
সেতুতে বিপদের আশঙ্কা, তাই যাত্রী পারাপারে রয়েছে নৌকাও।—নিজস্ব চিত্র।

সেতুতে বিপদের আশঙ্কা, তাই যাত্রী পারাপারে রয়েছে নৌকাও।—নিজস্ব চিত্র।

কংক্রিটের পিলার দূরঅস্ত, যে গুটিকয় কাঠের খুঁটির উপরে সেতু দাঁড়িয়ে রয়েছে সেগুলিও এতই নড়বড়ে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তার উপর জোয়ার এলে তো কথাই নেই। তখন পারাপারে ভরসা নৌকাই।

সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রের খবর, হাওড়ার সাঁকরাইল এ কন্যামনি এলাকার মধ্যে বড়জোড়া খালের উপর কয়েক দশক আগে কাঠের সেতু তৈরি করে সেচ দফতর। সেতুর দেখাশোনার দায়িত্বও ছিল সেচ দফতরের উপর। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রায় দশ বছর সেতুর কোনওরকম সংস্কারই হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সাঁকরাইলের বাসুদেববাটি পঞ্চায়েতের ৮-১০টি গ্রামের মানুষ থেকে স্কুলের পড়ুয়া সকলেই এই সেতু ব্যবহার করেন। কিন্তু বেহাল সেতু দিয়ে যাতায়াত ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর জেলা পরিষদ সেতুটির সংস্কার করলেও তাতে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। তাঁদের দাবি, এই সেতু দিয়ে কন্যামণি, গন্ধবপুর, উলা, হীরাপুর, সারেঙ্গা, নলপুর-সহ আশপাশের বহু গ্রামের লোকজন পারাপার করেন। শুধু তাই নয়, সেতুর পাশেই কন্যামণি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কন্যামণি নিউ সেট আপ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কন্যামণি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ফলে বহু ছাত্রছাত্রীর খাল পারাপার হওয়ার একমাত্র উপায় এই সেতু। অথচ বিপদ মাথায় নিয়েই তারা দিনের পর দিন খাল পারাপার করছে। তা ছাড়া জোয়ারের সময় জলের তোড়ে সেতু এমন নড়তে থাকে যে তখন নৌকায় পারাপার করতে হয়। উলুবেড়িয়া হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতেও ভরসা এই নড়বড়ে সেতুই। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেতুটি কংক্রিটের করার জন্য সেচ দফতর সহ অন্যান্য সরকারি দফতরে বহুবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সরস্বতী মণ্ডল বলেন, “রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলতে গেলে প্রথমে স্ট্রেচারে করে সেতু পার হতে হয়। এতে সত্যিই খুব সমস্যা হচ্ছে। সেতুর আশু সংস্কার দরকার।” সারেঙ্গার বাসিন্দা স্বপন কুমার পাল বলেন, “সেতুর যা অবস্থা তাতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো থেকে না ফেরা পর্যন্ত আতঙ্কে থাকি।” সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ বলেন, “মন্ত্রী ও জেলা পরিষদকে বলে শীঘ্রই যাতে সেতুটির সংস্কার করা হয় তার চেষ্টা করব।” সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি আমি জানতাম না। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”

dicky bridge uluberia southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy