নৈহাটি, বারাসাতের কালীপুজোর থিমের সঙ্গে লড়াইয়ে মেতেছে হুগলির পাণ্ডুয়াও। কলকাতা থেকে জিটি রোড ধরে বর্ধমানের দিকে এগোলেই পাণ্ডুয়া শহর। শহরে ঢুকলেই চোখে পড়বে রাস্তার দু’পাশ ঘিরে একাধিক কালীপুজোর মণ্ডপ। যা শুধু নজরকাড়াই নয়, চন্দননগরের আলোয় ঝলমল।
গোটা জিটি রোড জুড়েই বড় বড় আলোর গেট। শুধু শহরবাসী নয়, আশেপাশের জেলা থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন পাণ্ডুয়ার কালীপুজো দেখতে। বসে গিয়েছে মেলা। পুজোর দিনগুলিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। শুধু হুগলি জেলা পুলিশই নয়, সহযোগিতায় রয়েছে অন্য জেলার পুলিশও। এ বছর পাণ্ডুয়ায় মোট ৬৪টি পুজো হচ্ছে। এর মধ্যে প্রশাসনের অনুমতি রয়েছে ৩৪টির। পুজোয় কড়া নজরদারির জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বড় বড় মণ্ডপগুলিতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি। অন্তত ১০০ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে সারা শহর জুড়ে। এ ছাড়াও রয়েছে ৫০০ সিভিক স্বেচ্ছাসেবকের নজরদারি। দর্শনার্থীদের সাহায্য করতে রয়েছে পুলিশ বুথ। জেলা পুলিশের ডিএসপি (ডিএন্ডটি) দেবশ্রী স্যান্যাল এবং পাণ্ডুয়া থানার ওসি প্রদীপ দাঁ এর নেতৃত্বে ৩০ জন অফিসার শান্তিশৃঙ্খলা বজায়ের দায়িত্বে রয়েছেন।
হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনের ট্রেনে পাণ্ডুয়া স্টেশনে নামলেই চোখে পড়বে কালীমাতা ব্যবসায়ী সমিতির পুজো। দৃষ্টিনন্দন মণ্ডপ। শহরের ভিতরে যতই ঢোকা যাবে দেখা যাবে একে একে থিমের মন্ডপ। কাজি মহল্লা নবারুণ সঙ্ঘের পুজোর এবার রজতজয়ন্তী। ৪৫ ফুট উচু বেত ও চাটাইয়ের মণ্ডপ। জয়পুর রোডের উপর প্রভাত সঙ্ঘের পুজো এ বার ৫৫ বছরে পা দিল। মণ্ডপ তৈরি হয়েছে বিহারের মধুবনী শিল্পকে আশ্রয় করে। বিবেকানন্দ প্রগতি সঙ্ঘের মণ্ডপ দক্ষিণ ভারতের মায়েনমা মন্দির। মণ্ডপের ভিতরে ৫১ পিঠের নানা মূর্তি। সবুজ সঙ্ঘের পুজোয় এ বার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাট কবিতা অবলম্বনে মণ্ডপ। কুমোরপাড়ার গরুর গাড়ি দেখতে পাবেন দর্শকেরা। দেখা মিলবে পদ্মা নদীর। মধ্যমপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির পুজোর মণ্ডপ পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দির। সার্কাসের খেলা দেখা যাবে সঙ্ঘশ্রী ক্লাবের পুজোয়। গোহাট মেলাতলা ব্যবসায়ী সমিতির পুজো ৫০ বছরে পা দিয়েছে। দক্ষিণপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির ৫৭ বছরের পুজোও নজর কাড়বে।