বেরিয়েছিলেন ব্যবসার জন্য কাঁচামাল কিনতে। তার পরেই রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন হাওড়ার এক ব্যবসায়ী। মহম্মদ মেহেরুদ্দিন নামে ওই ব্যবসায়ীর মোটরবাইকটি উদ্ধার করা হয়েছে জাতীয় সড়ক থেকে। তদন্তে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বুধবার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ওই ব্যবসায়ীর পরিজন ও প্রতিবেশীরা। পুলিশ সেই অবরোধ তুলে দেয়। কিন্তু তিন দিনেও ওই ব্যবসায়ীর সন্ধান মেলেনি।
সন্ধান পাওয়া যায়নি দু’সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হওয়া সোনারপুরের নির্মাণ ব্যবসায়ী সোমনাথ মণ্ডলেরও। তিনিও মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন এবং সেই বাইকটি পরে উদ্ধারও করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও তাঁর বা মেহেরুদ্দিনের খোঁজ না-মেলায় রহস্য ঘোরালো হয়েছে। ইতিমধ্যে মুক্তিপণ চেয়ে সোমনাথের বাড়িতে ফোন আসায় পুলিশ মনে করছে, তাঁকে অপহরণই করা হয়েছে। তবে মেহেরুদ্দিনের ব্যাপারে তারা এখনও অপহরণের সন্দেহ প্রকাশ করেনি। কারণ, মুক্তিপণ চেয়ে ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের কাছে এ-পর্যন্ত কোনও ফোন আসেনি।
পুলিশ জানায়, সাঁতরাগাছির ঊনসানির বাসিন্দা, বছর পঁয়ত্রিশের মেহেরুদ্দিন হোসিয়ারি জিনিসপত্রের ব্যবসায়ী। মেটিয়াবুরুজে তাঁর দোকান রয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর, সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ তিনি মোটরবাইক নিয়ে বাঁকড়া বাজারে যান কাঁচামাল কিনতে। আর বাড়ি ফেরেননি। ওই রাতেই তাঁর বাড়ির লোকেরা প্রথমে সাঁতরাগাছি এবং পরে ডোমজুড় থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করেন। পরের দিন ডোমজুড় থানা জানায়, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের নিবড়া মোড় থেকে মেহেরুদ্দিনের মোটরবাইকটি উদ্ধার করা হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশ ও জেলা পুলিশ একত্রে তদন্ত চালাচ্ছে।
তিন দিনেও পুলিশ মেহেরুদ্দিনের হদিস দিতে না-পারায় নিখোঁজের পরিবার ক্ষুব্ধ। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ীর আত্মীয়স্বজন ও পড়শিরা এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন। আধ ঘণ্টা পরে পুলিশ অবরোধ হটিয়ে দেয়।
সাঁতরাগাছির মেহেরুদ্দিনের মতো সোনারপুরের সোমনাথেরও খোঁজ মেলেনি। নির্মাণ ব্যবসায়ী সোমনাথ সোনারপুর থানা এলাকার সুভাষগ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তাঁর মোটরসাইকেল মেলে বারুইপুর থানা এলাকার পাঁচঘরায়। তাঁর পরিজনদের অভিযোগ, সোমনাথ নিখোঁজ হওয়ার পরেই তাঁর দাদার মোবাইলে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। তদন্তে নেমে ২০ ডিসেম্বর বারুইপুর থানার পুলিশ সোমনাথের পরিচিত তিন জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশের অনুমান, ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণই করা হয়েছে। ধৃতেরা এখন পুলিশি হাজতে। ক্যানিং থানা এলাকায় সোমনাথকে আটকে রাখা হয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ। বিশেষ ভাবে ওই এলাকায় তাঁর খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy