খোলা হচ্ছে বেআইনি হোর্ডিং। বৃহস্পতিবার, হাওড়ায়। —নিজস্ব চিত্র।
এতদিনে হুঁশ ফিরল হাওড়া পুরসভার। দিনের পর দিন নিয়ম না মেনে যে কোনও জায়গায় বিজ্ঞাপনের জন্য বসানো হয়েছে লোহার খাঁচা। হোর্ডিং ও ব্যানারে ঢেকেছে আকাশের মুখ। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দু’পাশেও হোর্ডিং ও ব্যানার। এটাই দস্তুর ছিল হাওড়ায়। ক্ষমতায় এসে তৃণমূল শাসিত বোর্ড দেখে, এ সব হোর্ডিং বা ব্যানারের অস্তিত্ব পুরসভার নথিতে নেই। এর পরেই সেগুলি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করে পুরসভা। দৃশ্যদূষণ রুখতে কত সংখ্যক হোর্ডিং ও ব্যানার কী ভাবে বন্টন করা হবে, তৈরি হয় তার রূপরেখাও।
বৃহস্পতিবার থেকে হোর্ডিং দফতরের মেয়র পারিষদ গৌতম চৌধুরীর নেতৃত্বে হোর্ডিং-ব্যানার খোলার অভিযান শুরু হয় ডবসন রোড থেকে। বাদ যায়নি রাজনৈতিক দলের ব্যানারও। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া তৃণমূলের ব্যানারও খোলা হয়। যদিও অভিযোগ, পুরসভার চারপাশে দলের নেতাদের ছবি দেওয়া ব্যানার খোলা হয়নি। হোর্ডিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ জানান, সেগুলি শীঘ্রই খোলা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দল দেখা হবে না।
তিনি বলেন, “শহরে প্রায় ২০ হাজার বেআইনি হোর্ডিং চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিয়েছি। আগে যেখানে আয় হত ৮০-৯০ লক্ষ টাকা, সেখানে গত এক বছরে আমরা হোর্ডিং থেকে ৪ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা আয় করেছি।” গৌতমবাবু জানান, শহরে দৃশ্যদূষণ রুখতে এই অভিযান চলবে। যত্রতত্র হোর্ডিং লাগাতে দেওয়া হবে না। যেমন নবান্ন চত্বর ও ফোরশোর রোডের মতো জায়গায় হোর্ডিং বসাতে দেওয়া হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy