Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যু

এক দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র চাঞ্চল্য ছড়াল উলুবেড়িয়া মহকুমার পূর্ব তপনা গ্রামে। শনিবার দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে কীটনাশক খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মিনু শশারু (১৮)। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সময়েই মারা যান তিনি। ময়নাতদন্তের পর স্ত্রীর অন্ত্যেষ্টির পরে স্বামী সৌমেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে দিদির বাড়ি চলে যান বলে পুলিশ সূত্রের খবর। রবিবার সকালে বজবজে গঙ্গার ধারে অসুস্থ অবস্থায় সৌমেনকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর জামাইবাবু। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় সৌমেনেরও। সৌমেনের পরিবারের অভিযোগ, মিনুর মৃত্যুতে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে সৌমেনের বিরুদ্ধে থানায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়। তাতেই অপমানিত সৌমেন আত্মঘাতী হয়েছে।

মিনু এবং সৌমেন শশারু।—নিজস্ব চিত্র।

মিনু এবং সৌমেন শশারু।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১৫
Share: Save:

এক দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র চাঞ্চল্য ছড়াল উলুবেড়িয়া মহকুমার পূর্ব তপনা গ্রামে। শনিবার দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে কীটনাশক খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মিনু শশারু (১৮)। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সময়েই মারা যান তিনি। ময়নাতদন্তের পর স্ত্রীর অন্ত্যেষ্টির পরে স্বামী সৌমেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে দিদির বাড়ি চলে যান বলে পুলিশ সূত্রের খবর। রবিবার সকালে বজবজে গঙ্গার ধারে অসুস্থ অবস্থায় সৌমেনকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর জামাইবাবু। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় সৌমেনেরও। সৌমেনের পরিবারের অভিযোগ, মিনুর মৃত্যুতে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে সৌমেনের বিরুদ্ধে থানায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়। তাতেই অপমানিত সৌমেন আত্মঘাতী হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে মিনুর সঙ্গে সৌমেনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সৌমেন উলুবেড়িয়ায় একটি নার্সিংহোমে রিসেপশনিষ্টের কাজ করতেন। এ ছাড়া তাঁদের পারিবারিক চাষবাসও ছিল। শনিবার দুপুরে সৌমেন খেতে চাইলে তা নিয়ে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর পর সৌমেন না খেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

সৌমেনের কাকীমা অনিতাদেবীর কথায়, “ সৌমেন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে মিনু রান্নাবান্না শুরু করে। এর পর হঠাত্‌ই বমি করতে থাকে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। বোধহয় ঘরে রাখা কীটনাশক খেয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায় মিনু।”

মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মিনুর বাপের বাড়ি থেকে সৌমেনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়। পুলিশকে তাঁরা জানান, সৌমেনের সংসারে চরম আর্থিক সঙ্কট চলছিল। তার ফল মেয়েকেও ভোগ করতে হত। এই মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই সে আত্মঘাতী হয়েছে। সৌমেনের বাড়ির লোকের অভিযোগ, মিনুর বাপের বাড়ির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বাড়িতে এসেছিল।

এ দিকে, স্ত্রীর মৃত্যুর পরেই সৌমেন বজবজের বিড়লাপুরে দিদির বাড়ি চলে যান। রবিবার সকালে তাঁকে গঙ্গার ধারে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর জামাইবাবু। উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। সৌমেনের পরিবারের অভিযোগ, মিনুর বাপের বাড়ির অভিযোগ নিয়ে বাড়িতে আসায় অপমানে আত্মহত্যা করেছেন সৌমেন। যদিও মিনুর বাপের বাড়ির লোকের বক্তব্য, তাঁরা পুলিশকে মৌখিকভাবে ঘটনা জানিয়েছিলেন। কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি।

পুলিশ জানিয়েছে, কোনও লিখিত অভিযোগ তাঁরা পাননি। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE