বাড়িতে চড়াও হয়ে দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যা এবং তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে পুলিশে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের সন্তোষপুর পঞ্চায়েতের গয়েশপুরে। বিষয়টি নিয়ে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচারা দিয়ে উঠেছে সেখানে। তৃণমূল শিবিরেরই খবর, প্রহৃত তকমিনা বেগম এবং তাঁর স্বামী সৌরভ আলি পুরপ্রধান স্বপন সামন্তের অনুগামী। আর অভিযুক্তেরা উপ-পুরপ্রধান উত্তম কুণ্ডুর ঘনিষ্ঠ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ জনা ছয়েক যুবক তকমিনাদের বাড়িতে চড়াও হয়। সৌরভবাবুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তকমিনাও রেহাই পাননি। তাঁর অভিযোগ, “ওরা লাঠিসোঁটা, লোহার রড নিয়ে এসেছিল। আমাদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়। স্বামীর চোখে, পায়ে আঘাত লাগে।” হামলাকারীরা চলে গেলে ওই দম্পতিকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তকমিনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর স্বামী ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তকমিনার দাবি, হামলাকারীদের সবাইকেই তিনি চেনেন। এ দিন রাতে তাদের বিরুদ্ধে তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ সিংহরায় বিষয়টি নিয়ে থানা-পুলিশ করতে চাপ দেন তাঁকে। তিনি অবশ্য তা শোনেননি।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, গোষ্ঠী বিবাদের জেরে তকমিনার সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষের বনিবনা ছিল না। তকমিনার অভিযোগ, ওই নেতা এবং তাঁর অনুগামীরা তাঁকে উত্তম কুণ্ডুর নির্দেশে দল করার জন্য চাপ দিতেন। তা না শোনাতেই এই হামলা। সোমবারেও এই কারণে বাড়িতে এসে নাবালিকা মেয়েকে কয়েক জন ধমকে যায় বলে তাঁর অভিযোগ।
প্রদীপবাবুর দাবি, “পারিবারিক কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দল কেউ কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। কেউ এমন বললে তিনি মিথ্যা বলছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy