সাক্ষ্যগ্রহণ করা হল হাওড়ার আমতার মুক্তিরচক গণধর্ষণ মামলায় অন্যতম নির্যাতিতার। একইসঙ্গে ওই নির্যাতিতার শাশুড়িকে জেরা করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী।
মঙ্গলবার আমতা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শ্যামলকুমার রায়চৌধুরীর এজলাসে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ এবং শুনানি হয়। শুনানির সময়ে অভিযুক্তদের আইনজীবী বিমল রক্ষিত নির্যাতিতার শাশুড়িকে ওইদিন রাতের ঘটনার খুটিনাটি জিজ্ঞাসা করেন। নির্যাতিতার শাশুড়ি আদালতে জানান, দুষ্কৃতীদের তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তারপরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান পুলিশের কাছে। অভিযুক্তদের আইনজীবী জানান নির্যাতিতার শাশুড়ি সব মিথ্যা কথা বলছেন। যেহেতু অভিযুক্তরা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। তাই তিনি মিথ্যা অভিযোগ করে তাঁর মক্কেলদের ফাঁসাতে চাইছেন। নির্যাতিতার শাশুড়ি অভিযুক্তদের আইনজীবীকে জানান, তিনি কোনও রাজনীতি করেন না। যা ঘটেছে সেটাই আদালতে বলেছেন। শুনানির সময়ে নির্যাতিতার শাশুড়ি কিছুটা অসুস্থ বোধ করায় তাঁর চোখে মুখে জল দেওয়া হয়। এ দিন সরকারি আইনজীবীকে দেওয়া তাঁর সাক্ষ্যে অন্যতম নির্যাতিতা গৃহবধূ জানান কবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং কবে তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ১৫ নভেম্বর তিনি সাক্ষ্য দিতে এসে আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে ওইদিন তাঁর সাক্ষ্যগ্রহণ পুরোপুরি হয়নি। ওই অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণই এ দিন শেষ করা হয় মঙ্গলবার।
মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর। ওইদিন আরও এক নির্যাতিতার সাক্ষ্যগ্রহণ করার কথা। গত ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তিরচক গ্রামে দুই গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই স্থানীয় নেতা বরুণ মাখাল এবং রঞ্জিত মণ্ডল-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করে। গত ১৩ নভেম্বর থেকে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে আমতা আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy