শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার বৃদ্ধ

ছয় বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তার প্রতিবেশী এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করল হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ। সোমবার রাতে জাঙ্গিপাড়ার আমবাগান গ্রামের বাসিন্দা ক্ষুদিরাম মালিক নামে ৬৭ বছরের ওই বৃদ্ধ গ্রেফতার হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটি প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা কলকাতার ধর্মতলায় একটি সেলুনে কাজ করেন। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ ক্ষুদিরামের বাড়ির সামনে মেয়েটি খেলছিল। ক্ষুদিরাম বাড়িতে একাই ছিলেন। অভিযোগ, তিনি মেয়েটিকে ভিতরে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করেন। বাড়ি ফিরে শিশুটি যেন কাউকে কিছু না বলে, এমনটাও শিখিয়ে দেন। শিশুটি বাড়ি ফিরে প্রথমে ভয়ে কিছু না বললেও পরে মাকে সব খুলে বলে। বাড়ির লোকেরা পড়শিদের জানান। সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। রাতেই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগে ঘটনার কথা জানতে পেরে ওই বৃদ্ধকে তাঁর ছেলেরা মারধর করেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

মেয়েটির বাড়ির লোকজনের দাবি, আগেও ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। গ্রামবাসীরা মিটমাট করে নেন। শিশুটির মা জানান, এ বার জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিষয়টি মিটমাট করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা পুলিশের কাছে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নেন। উপপ্রধান, তৃণমূলের ইয়াসিন হোসেনের দাবি, “মিটমাটের কথা আদপেই বলিনি।”

অন্য দিকে, ওই রাতে পাণ্ডুয়ার জয়পুরে চলন্ত অটোয় এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে অটো-চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম আব্দুল রহমান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ তেলিপাড়া বাজার থেকে অটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিল বছর চোদ্দোর ওই কিশোরী। পথে সহযাত্রীরা নেমে যাওয়ায় সে একাই ছিল। অভিযোগ, জয়পুরে স্টেশন যাওয়ার রাস্তায় ওই অটোচালক মেয়েটির শ্লীলতাহানি করে। মেয়েটির চিত্‌কারে এলাকার লোকজন অটোটি থামান। চালককে আটকে রেখে তাঁরা থানায় খবর দেন।