Advertisement
E-Paper

ঢাকাই পোশাকের হাব হলদিয়ায়

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৮ ০৫:০৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

চট্টগ্রাম বন্দরে জায়গা নেই। বিস্তর বাধা সড়কপথেও। তাই বাংলাদেশের পোশাক ও বস্ত্র ব্যবসায়ীদের একাংশ হলদিয়া বন্দরের মাধ্যমে রফতানির প্রস্তাব দিয়েছেন। ও-পার বাংলার রফতানিযোগ্য পণ্যের বড় অংশই হল তৈরি পোশাক ও বস্ত্র। এই অবস্থায় সেখানকার ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে হলদিয়াকে প্রস্তুত রাখছেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বন্দর সূত্রের খবর, হলদিয়াকে বাংলাদেশের পোশাক ও বস্ত্র রফতানির হাব হিসেবে গড়ে তুলতে বিদেশ মন্ত্রকও ঢাকার সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে। যদিও শেখ হাসিনা প্রশাসনের একাংশ সে-দেশে ভোটের আগে তাড়াহুড়ো করতে চায় না।

জাহাজি মহলের খবর, এখন বাংলাদেশের যাবতীয় পোশাক রফতানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। সেই জন্য মূলত ঢাকার আশেপাশে গড়ে ওঠা পোশাক রফতানি কারখানা বা ইউনিটগুলোকে সড়কপথে যেতে হয় প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। তার পরে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বাংলাদেশি পোশাক পৌঁছয় সারা বিশ্বে। রফতানিকারীদের একাংশের বক্তব্য, সড়কপথে দেরি তো হয়ই, বন্দরে পৌঁছনোর পরে জাহাজে পণ্য তুলে রওনা করতে আরও এক দফা দেরি হয়। তাই বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন পোশাক ব্যবসায়ীদের একাংশ। কী সেই বিকল্প প্রস্তাব?

বন্দর জানাচ্ছে, ঢাকার অদূরে বুড়িগঙ্গা নদীর উপরে রয়েছে পানগাঁও বন্দর। সেই নদীবন্দর কার্যত খালি পড়ে থাকে। যদি বার্জে করে পানগাঁও থেকে হলদিয়ায় কন্টেনার আনা যায়, তা হলে সড়কপথ এড়ানো যাবে, জলপথেও পূর্ব উপকূলে এগিয়ে আসা যাবে অনেকটা। বেশ কিছু কন্টেনার জড়ো হলে হলদিয়া থেকে তা বড় জাহাজে চলে যাতে পারে ইউরোপ-আমেরিকায়। তাতে খরচও কমবে রফতানিকারীদের। বন্দরের এক কর্তার কথায়, ‘‘ঢাকা থেকে বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পোশাকের কন্টেনার আসতে পারে। সেটা কম নয়। তাতে ব্যবসায়ীদের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। কিছু রোজগার হবে।’’

তা হলে হচ্ছে না কেন? জাহাজ মন্ত্রকের খবর, বাংলাদেশের সড়ক পরিবহণের একটি বড় অংশ এর বিরুদ্ধে। তাঁদের মতে, জলপথে হলদিয়ায় পোশাক চলে গেলে বাংলাদেশের লরি ব্যবসা মার খাবে। বাংলাদেশের আমদানি-রফতানিতে তৃতীয় দেশের হস্তক্ষেপও চান না ঢাকা প্রশাসনের একাংশ। সস্তায় রফতানির জন্য পানগাঁও-হলদিয়া রুটই এখন সব চেয়ে লাভজনক বলে পোশাক ব্যবসায়ীদের অভিমত। কিন্তু তা আটকে আছে দু’‌দেশের মতপার্থক্যে।

Haldia Dhakai Dress Materials
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy