জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, প্রাথমিক ভাবে রাজনৈতিক যোগ মেলেনি। প্রতীকী ছবি।
বিহার থেকে আসা গাড়ির ‘স্টেপনি’তে (বদলি চাকা) লুকোনো প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকা উদ্ধারের পরে, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগের ইঙ্গিত সোমবারই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সে দিন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, প্রাথমিক ভাবে রাজনৈতিক যোগ মেলেনি। মঙ্গলবার অবশ্য জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, ‘‘সব রকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতেরা যা-ই দাবি করুক, টাকার উৎস এবং তা কোথায় নিয়ে যাওয়ার মতলব ছিল, সব যাচাই করা হচ্ছে। কোনও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’’
জেলা পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ধৃতদের মধ্যে মহম্মদ তৌফিকের বিহারের ‘প্রভাবশালীদের’ সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। আরও তথ্য হাতে এলে, তদন্ত অন্য দিকে মোড় নিতে পারে। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপের দাবি, ‘‘দলনেত্রী ঠিকই বলেছেন, কোটি কোটি টাকা এনে বিজেপি নেতারা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে মদত দিচ্ছেন। পুলিশ সে যোগসূত্র দ্রুত উদ্ধার করতে পারবে বলে আশা রাখছি।’’ পক্ষান্তরে, জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামীর মন্তব্য, ‘‘পুলিশ টাকা উদ্ধার করছে এবং চিত্রনাট্য লিখে দিচ্ছে তৃণমূল।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, যে গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি কিছু দিন আগে কিনেছিল মহম্মদ তৌফিক। বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা তৌফিক এলাকায় ‘মাফিয়া’ বলে পরিচিত। কয়েকটি ট্রাক রয়েছে তার। সে সব ট্রাকে মূলত কয়লা পাচার করা হয় বলে দাবি পুলিশ সূত্রের।
এ দিন পর্যন্ত তৌফিকরা জেরায় পুলিশের কাছে দাবি করেছে, কর ফাঁকি দিতে কয়লার টাকা লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যদিও পুলিশের দাবি, কয়লার ব্যবসার টাকা এ ভাবে গাড়িতে নিয়ে গিয়ে লেনদেন হয় না।তৌফিক-সহ বাকিদের সম্পর্কে বিহার পুলিশের কাছে তথ্য চেয়েছে জলপাইগুড়ি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy