বাগদার মামাভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
শুধু প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের অভিযোগ নয়, টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিও মিলল এক শিক্ষিকার স্বামীর কাছ থেকে। বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে ‘সৎ রঞ্জনের’ বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন উপেন। ‘টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া’ ওই শিক্ষিকার স্বামী সেটাই জানান সিবিআই-কে।
সেই সংক্রান্ত তথ্য এবং বক্তব্য শুক্রবার প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে উল্লেখও করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কল্যাণীর বাসিন্দা পাপিয়া মুখোপাধ্যায় ২০১৪ সালে ‘টেট’ বা শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা না-দিয়ে নগদ সাড়ে সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি পান। টাকা নিয়েছিলেন বাগদার মামাভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মণ্ডল।
প্রাথমিক নিয়োগে চাকরিপ্রার্থী মামলাকারী সৌমেন নন্দীর বয়ান নথিভুক্ত করেছিল সিবিআই। সেখানেই ২০১৭ সালে পাপিয়ার চাকরির কথা উঠে আসে। পাপিয়ার স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাসকে খুঁজে বার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। আদালতের নথি অনুযায়ী, জয়ন্ত তদন্তকারীদের জানান, কল্যাণীতে থাকলেও তাঁদের আদি বাড়ি মামাভাগিনা গ্রামে। সেখানেই তিনি চন্দন মণ্ডলের খোঁজ পান। পাপিয়া ২০১২ সালে টেট পাশ করতে পারেননি। ২০১৪-য় টেটে বসেননি। ২০১৫-র অগস্টে জয়ন্তের বাবা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী দীননাথ বিশ্বাসের পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা তুলে চন্দন মণ্ডলকে দেওয়া হয়। তার বিনিময়েই ২০১৭ সালে নদিয়ার হবিবপুরের পানপাড়া জুনিয়র প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পান পাপিয়া।
একই ভাবে সুভাষ মণ্ডল নামে টেট ফেল করা এক প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা সিবিআইকে জানান রমেশ মালিক নামে এক মামলাকারী। আদালতে পেশ করা সিবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সুভাষ ২০১৭ সালের একটি মামলাতেই হলফনামা দিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি ২০১৪-র টেট পাশ করতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy