এক গৃহবধূকে মারধর করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে উলুবেড়িয়ার কুশবেড়িয়ায়। মৃত ওই গৃহবধূর নাম মিতা দাস (২৩)।
মাত্র ছয় মাস আগে কুশবেড়িয়ার বাসিন্দা রানা মণ্ডলের (২৭) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল গড়িয়ার শান্তিনগরের বাসিন্দা মিতার। স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে কাজ করেন রানা।
নবমীর রাতে স্বামীর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যেতে চেয়েছিলেন মিতা। স্বামীর জন্য অপেক্ষাও করছিলেন তিনি। রাত বাড়তে থাকার পরও যখন তাঁর স্বামী বাড়ি ফিরছিলেন না, বার বার মোবাইলে ফোন করেন। কিন্তু তাতেও সাড়া দেননি রানা। অভিযোগ, এরপর রাত দেড়টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে প্রচণ্ড মারধর করতে থাকেন স্ত্রীকে। এরপরেই মিতার গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দেন তিনি। এই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন রানার বাবা দ্বিজেন্দ্রনাথ মণ্ডল, মা কল্পনা মণ্ডল এবং ভাই রাহুল মণ্ডল। ঘটনার পর রানা যে নার্সিংহোমে কাজ করেন সেখানেই মিতাকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার সকালে মিতার কাকা খোকন দাস মিতার শ্বশুড়বাড়ির বিরুদ্ধে উলুবেড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মিতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মদ খেয়ে বউকে মারধর করতেন রানা। পুলিশ মিতার স্বামী রানা মণ্ডল ও শ্বশুর দ্বিজেন্দ্রনাথ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক মিতার শাশুড়ি কল্পনা মণ্ডল ও দেওর রাহুল মণ্ডল।