মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতোই রাজ্যের অন্য জেলায় কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়াররাও সমান অঙ্কের পুজোর বোনাস পাবেন বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘কিছু রাজনৈতিক দল এবং নেতা অসৎ উদ্দেশে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে।’’ সেই সঙ্গেই মমতা জানিয়েছেন, ‘‘আমি আশ্বাস দিচ্ছি, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অধীনে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়াররাও কলকাতা পুলিশের অধীনে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতো পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা পুজোর বোনাস পাবেন।’’ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আশা কর্মীরাও প্রত্যেকে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা করে পুজোর বোনাস পাবেন।
কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে পুজোর বোনাস নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য ছিল, ‘‘পুজোয় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়াররা বোনাস পাবেন পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা করে, আর রাজ্যে কর্মরত বাকি সিভিক ভলান্টিয়াররা পাবেন দু’হাজার টাকা করে। এ কেমন বিচার? দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রিক প্রশাসন এতটা এক চোখা, এত পক্ষপাতদুষ্ট?’’
সামাজিক মাধ্যমে ‘প্রমাণ’ হিসাবে মোবাইলে আসা ব্যাঙ্গের মেসেজের স্ক্রিনশটও দেন শুভেন্দু। তার একটায় অঙ্ক ছিল, পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। অন্যটায় দু’হাজার টাকা। মমতার বক্তব্য, পুলিশের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার কৌশল নিয়ে এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতা এ ধরনের কথা বলছেন। যদিও মমতা শুভেন্দুর নাম করেননি।
এই মুহূর্তে রাজ্যে দুই লক্ষাধিক সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। তাঁরা পুলিশের কাজে সহায়তা করেন। বিশেষ করে এলাকায় টহল দেওয়া, ট্রাফিক সামলানোর কাজ মূলত এখন সিভিক ভলান্টিয়াররাই করে থাকেন। তবে হাই কোর্টের নির্দেশে এখন আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও বিষয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো যায় না। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় স্বভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া সিভিকদের মধ্যে। পুজোতে তাঁরাই ভিড় সামলানোর বড় ভূমিকা নেবেন পাড়ায় পাড়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy