পার্থ-অনুব্রত কাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় বিজেপি আক্রমণ করলেই পাল্টা জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে বিধানসভা অধিবেশনে আক্রমণ শানাতে পারে বিজেপি। বুধবার বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে দলীয় বিধায়কদের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পাল্টা আক্রমণের নির্দেশ দেন। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, এ বারের বিধানসভা অধিবেশনের শুরু থেকেই পার্থ-অনুব্রত কাণ্ড নিয়ে সরব হবেন বিরোধীরা। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থের হদিস নিয়েও প্রশ্ন তুলবেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে তাঁদের আক্রমণের নিশানা হবে শাসকদল। তাই নেতাদের নির্দেশ, বিজেপিকে কোনওভাবেই অধিবেশনে ছেড়ে কথা বলা যাবে না।
এ প্রসঙ্গে এক তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, এক জন ব্যক্তি কোনও অন্যায় করলে তার দায়িত্ব কোনও দিনই দলের নয়। তাই এ ক্ষেত্রে দল কোনওভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়, এই কথা মাথায় রেখেই আমাদেরকে লড়াই করতে বলা হয়েছে। বিজেপি যদি আমাদেরকে আক্রমণ করে তা হলে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য আমরাও প্রস্তুত রয়েছি। তবে বিজেপি পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেছেন, “এবারের বিধানসভা সত্যি উত্তপ্ত হতে চলেছে। কারণ যে ভাবে একের পর এক দুর্নীতিতে রাজ্য সরকার জড়িয়ে পড়ছে তাতে বিরোধী হিসেবে আমাদের ভূমিকা আমাদের প্রমাণ করতে হবে বিধানসভার অধিবেশনে।” তিনি আরও বলেন, “শুধু দুর্নীতিই নয়, রাজ্যে যেভাবে গণতন্ত্র ভেঙে পড়ছে এবং পুলিশি রাজ কায়েম হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে বিজেপি পরিষদীয় দল বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy