প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের কিছু কর্মরত চিকিৎসককে উচ্চশিক্ষার জন্য কয়েক বছরের জন্য ছেড়ে দিলে ৩৭টি জায়গায় চিকিৎসা পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জানাল রাজ্য সরকার। তাদের বক্তব্য, ওই চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে গেলে ২৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক থাকবেন মাত্র এক জন!
সরকারি হাসপাতালে কর্মরত শতাধিক চিকিৎসক স্নাতকোত্তর পড়ার ‘স্পনশরশিপ’ না-পেয়ে ‘স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল’ (স্যাট)-এ মামলা করেন। স্যাটের বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ ও বিশেষজ্ঞ সদস্য সুবেশ দাস স্পনশরশিপ দিতে নির্দেশ দেয়। স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছে রাজ্য। বিচারপতি করগুপ্তের প্রশ্ন ছিল, উচ্চশিক্ষিত চিকিৎসক না-থাকলে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালগুলি চলবে কী করে? ওই চিকিৎসকেরা স্নাতকোত্তর পড়তে গেলে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা কতটা ভেঙে পড়বে, তা জানাতে বলেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সরকারি কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন সেই তথ্য দিয়ে জানান, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৯৬ জন স্থায়ী কর্মরত চিকিৎসক চলতি শিক্ষাবর্ষে এমডিএস পড়়ার স্পনশরশিপ পাবেন।
আবেদনকারী চিকিৎসকদের কৌঁসুলি প্রতীক ধর জানান, যে-সব চিকিৎসক হাসপাতালে ‘প্রবেশন’-এ রয়েছেন, তাঁরা কার্যত সরকারি চাকরি করছেন। কর্মরত চিকিৎসকদের মধ্যে তাঁদেরও ধরতে হবে। কারণ, বিধিতে কোথাও বলা নেই, ‘প্রবেশন’-এ থাকা চিকিৎসকেরা উচ্চশিক্ষার জন্য স্পনশরশিপ পাবেন না।
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, শুনানি শেষ। রায় ঘোষণা হবে পরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy