প্রতিবাদে আশাকর্মীরা। — ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ ছ'বছর পরে পারিশ্রমিক বাড়ল মাত্র সাড়ে সাতশো টাকা। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ওই বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেও, সন্তুষ্ট নন আশাকর্মীরা। তবে, তাঁদের দাবি ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই শেষমেশ রাজ্য সরকার যৎসামান্য হলেও বেতন বাড়িয়েছে।
বেতন বৃদ্ধি পেয়ে এপ্রিল থেকে মাসে ৫ হাজার ২৫০ টাকা পাবেন আশাকর্মীরা। গত ২০১৮ সালে তাঁদের বেতন এক হাজার টাকা বেড়েছিল। বিভিন্ন দাবিতে গত ১ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন আশাকর্মীরা। ৫ মার্চ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কয়েক হাজার আশাকর্মী স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তখন একাধিক শীর্ষকর্তা তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।
পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ইসমত আরা খাতুন জানান, এ দিন থেকে তাঁরা সাময়িকভাবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু বাকি দাবি পূরণ না হলে ভোটের পরে ফের কর্মবিরতি শুরু হবে। তাঁদের দাবি, করোনার কাজের জন্য ১৫ হাজার টাকা কেন্দ্র দেওয়ার কথা থাকলেও সকলে পুরো টাকা পাননি। আবার রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার আশাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে মেরেকেটে ৫০০ জন এক লক্ষ টাকা করে পেয়েছেন। আশাকর্মীদের আরও দাবি, প্রতি বছর অন্তত তিন শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। জিটিএ-তে যে কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের যাতায়াত খরচ দিতে হবে। বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ কেন্দ্র যে ভাতা দেয়, তা নিয়মিত প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। আবার, ছ'মাস ধরে মোবাইল রিচার্জের টাকা বকেয়া ছিল। প্রায় ৬০ হাজার আশাকর্মীর সেই বকেয়াও এ দিন মেটানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
একই রকম দাবি তুলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছে সিটু পরিচালিত রাজ্য আশা স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy