ফাইল ছবি
রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম এবং বিদ্যুৎ সংবহন নিগমের কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ-র প্রথম কিস্তি ২৩ জুনের মধ্যে না-মেটালে সংস্থার এমডি এবং দুই জেনারেল ম্যানেজারের বেতন আটকে দেওয়া হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, সব কর্মীকে প্রথম কিস্তিতে বকেয়ার এক-পঞ্চমাংশ (২০%) দিতে হবে। ২০১৬ সাল থেকে বকেয়া ডিএ মেটাতে ক’টি কিস্তির সুযোগ মিলবে, কোর্ট তা বলেনি। ফের শুনানি ২৪ জুন।
বকেয়া ডিএ নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের মামলায় ২০২০ সালের ১৩ মার্চ বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, ছ’মাসের মধ্যে চার কিস্তিতে ডিএ মেটাতে হবে। নির্দেশ পালন করে দুই সংস্থার হলফনামা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না-করায় দু’টি সংস্থার এমডি শান্তনু বসুকে তলব করে কোর্ট। এ দিন শান্তনুবাবু কোর্টে হাজিরা দেন। মামলাকারীদের কৌঁসুলি সৌম্য মজুমদার ও সংযুক্তা দত্ত কোর্টে দুই সংস্থার অডিট করা লাভক্ষতির হিসেব জমা দিয়েছেন।
এ দিন মেটশুনানিতে দুই সংস্থার অন্যতম আইনজীবী আর্জি জানান, ৩৬টি মাসিক কিস্তিতে ডিএ মেটানোর সুযোগ দেওয়া হোক। সেই আর্জি খারিজ করেছে কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ৩৬ মাস ধরে বকেয়া ডিএ দেওয়ার সুযোগ অন্যায্য। তবে বণ্টন সংস্থাকে যে-হেতু ৪৮০ কোটি এবং সংবহন সংস্থাকে ৫১ কোটি টাকা মেটাতে হবে, তাই কয়েকটি কিস্তির সুযোগ দিতে পারে আদালত। কেন এক লপ্তে বকেয়া মেটানো যাবে না, তার ব্যাখ্যা হিসেবে পরের শুনানিতে হিসেব পেশ করতে হবে দুই সংস্থাকে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, বিচার ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে চালিয়ে যাওয়া দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের ফসল এই ঐতিহাসিক রায়। এতে ২৮,০০০ পেনশনভোগী, ১৫,০০০ কর্মী উপকৃত হবেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy