Advertisement
E-Paper

করোনা-আক্রান্ত ছাত্র, হস্টেল খালি করার নির্দেশ আইআইটিতে

গত বুধবার রাতে লালবাহাদুর শাস্ত্রী হলের (হস্টেল) এক আবাসিক ছাত্রের করোনা রিপোর্ট অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজ়িটিভ আসে

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ০৩:৪৪
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

দেশ জুড়ে লকডাউন শুরুর আগেই করোনা রুখতে কড়াকড়ি শুরু হয়েছিল ক্যাম্পাসে। আনলক-পর্বে হস্টেল ছেড়ে পড়ুয়াদের বাড়ি যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাও নানা কারণে কিছু পড়ুয়া থেকে গিয়েছিলেন খড়্গপুর আইআইটি-র হস্টেলে। তাঁদেরই এক জনের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় সব হস্টেল তিন দিনের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দিলেন কর্তৃপক্ষ।

গত বুধবার রাতে লালবাহাদুর শাস্ত্রী হলের (হস্টেল) এক আবাসিক ছাত্রের করোনা রিপোর্ট অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজ়িটিভ আসে। বিটেক অন্তিম বর্ষের ওই ছাত্রকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ। আরটিপিসিআর পরীক্ষাতেও রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তার পরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, আগামী ২৩ অগস্টের মধ্যে সব পড়ুয়াকে ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে। খড়্গপুর আইআইটির রেজিস্ট্রার ভৃগুনাথ সিংহ বলেন, “আমরা অনেক আগেই পড়ুয়াদের হল খালি করতে বলেছিলাম। কিছু পড়ুয়া নানা অসুবিধা দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানের চারটি হলে থেকে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক জন পড়ুয়া কী ভাবে পজ়িটিভ হয়ে গেলেন আমরা তদন্ত করছি। তবে আপাতত ২৩ অগস্টের মধ্যে সব পড়ুয়াকে হল ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে বলেছি।” সংক্রমিত ছাত্র যেখানে ছিলেন, সেই হল সিল করা হয়েছে। নিয়মমাফিক বাকি পদক্ষেপও করা হচ্ছে বলে রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন।

করোনা রুখতে আগাম পদক্ষেপই করেছিল আইআইটি। ১৩ মার্চ থেকে ক্লাস বন্ধ করে পড়ুয়াদের ঢোকা-বেরনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। এর পরেই প্রতিষ্ঠানের ১২ হাজার পড়ুয়ার অনেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। লকডাউনে আরও কড়া হন কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে আটকে পড়েন প্রায় ৩ হাজার পড়ুয়া। শেষে ১ জুন আনলক-পর্ব শুরু হতে ফের শুরু হয় ঘরে ফেরার পালা। আইআইটি কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২০ জুনের মধ্যে সব পড়ুয়াকে বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেন। তবে নানা কারণে বিআর অম্বেডকর, মদনমোহন মালবীয়, লালবাহাদুর শাস্ত্রী ও নিবেদিতা হলে প্রায় আড়াইশো পড়ুয়া থেকে যান।

আরও পড়ুন: ছাত্রদের ভার্চুয়াল সভায় শক্তি প্রদর্শনে তৃণমূল

আনলক-পর্বেও আইআইটিতে নানা বিধি-নিষেধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে ঢোকা-বেরনোয় চলছে কড়া নজরদারি। একটি বাদে সব গেট বন্ধ। মেস ও হলের কর্মীদের বাইরে যাওয়াও বারণ। তার পরেও কী ভাবে এক ছাত্র সংক্রমিত হলেন, প্রশ্ন উঠেছে। জানা যাচ্ছে, হলে পড়ুয়া সংখ্যা কম হলেও বাইরে মেসে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া চলছে। সংক্রমিত ছাত্রটি বাইরের মেসে বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছিলেন। এ বার তাই ক্যাম্পাস খালি করতে বদ্ধপরিকর কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রার ভৃগুনাথ বলেন, “এত পড়ুয়া যখন যেতে পেরেছে, তখন এই আড়াইশো পড়ুয়ার যেতে সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।”

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

Coronavirus in West Bengal IIT Kharagpur COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy