সোমবার দুপুরে বিক্ষোভে মহিলারা। —নিজস্ব চিত্র।
শ্মশানে কোভিড রোগীদের সৎকার ঘিরে বিক্ষোভ জলপাইগুড়িতে। সংক্রমিত দেহ সৎকারের ফলে এলাকায় দূষণ ও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। শুধু তাই নয়, সকলের অগোচরে রাতের অন্ধকারে শ্মশানে দেদার কোভিড রোগীর দেহ পোড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। তা নিয়ে রবিবার রাতে রাস্তায় বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক মহিলা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। বিক্ষোভ থামাতে শেষমেশ পুলিশকে নামতে হয়। তার পরেও সোমবার ফের এক প্রস্থ ঝামেলা হয়েছে সেখানে।
শ্মশানে কোভিড রোগীদের দাহ করা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই ওজর-আপত্তি শোনা যাচ্ছিল মাসকলাইবাড়ি এলাকায়। রবিবার সন্ধ্যার পর তা চরম আকার ধারণ করে। রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ করেন এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে মহিলারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দাবি করেন, রাতের অন্ধকারে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালের সব দেহ এনে মাসকলাইবাড়ি মহাশ্মশানে দাহ করা হচ্ছে। তাতে দুর্গন্ধ এবং দূষণে ছেয়ে যাচ্ছে গোটা এলাকা। শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
তাঁদের দাবি মেনে এখনই প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। তা না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ তুলবেন না বলে হুমকি দেন। তাতে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় পুলিশের একটি দল। তাতে সাময়িক ভাবে বিক্ষোভ উঠে যায়। কিন্তু সোমবার দুপুরে ফের বিক্ষোভে নামেন স্থানীয়রা। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার বিক্ষোভকারীদের ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘চুল্লিতে মৃতদেহ দাহ করলে কিছুটা দূষণ হবেই। এটা বন্ধ করা যায় না। সে কোভিড রোগী হোক বা অন্য কোনও রোগী। তবে দেহ দাহ করার পর আমরা চুল্লির জীবাণুমুক্তকরণ করছি। এলাকার প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ অভিযান চালাচ্ছি।’’ তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর শেষমেশ বিক্ষোভ ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy