সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলি। ফাইল চিত্র।
গরু পাচার মামলায় বাড়ির জামাইকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। সেখানে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বলে নানা সূত্রে খবর। সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলির শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অবশ্য দাবি, তদন্তকারী সংস্থা চাইলেই তাঁরা তাঁদের সম্পত্তির নথিপত্র দেখাবেন। তবে দিল্লিতে শনিবারের পরে সোমবারও জামাইকে জেরা করায় তারা যে খানিক চিন্তিত, অস্বীকার করছে না পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘির খেতিয়ার পরিবারটি।
ইডি সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার মামলা লড়ার খরচ জোগানোর সঙ্গে মহম্মদ আলির যোগ রয়েছে। আলিরও বাড়ি খেতিয়ার পূর্বপাড়ায়। একতলা বাড়িটির এক দিকে বড় ফাটল ধরেছে। সোমবার দুপুরে সেই বাড়িতে তালা ঝুলছিল। আশপাশের বাসিন্দারা জানালেন, সম্প্রতি তাঁর অসুস্থ দাদা মারা গিয়েছেন। বাড়িতে এখন কেউ নেই। সেখান থেকে কিছুটা দূরেই আলির শ্বশুরবাড়ি। প্রায় ২০ বছর আগে এই বাড়ির মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি ছেলে রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আলির শ্বশুর শেখ আব্দুল মোমিন অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্ত।
প্রায় সাত কাঠা জমিতে পুরনো দোতলা বাড়ির পাশেই একটি একতলা বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। এই বাড়িতেই থাকেন আলির তিন শ্যালক-সহ পরিবারের ১৪ জন সদস্য। তাঁর ছোট শ্যালক শাহিদ আহমেদ জানান, তিনি পুরনো গাড়ির ব্যবসা করেন। বড় দাদা ইমতিয়াজের চালের ব্যবসা রয়েছে। আর এক দাদা মুস্তাক পারিবারিক চাষ দেখেন। মুস্তাকের দাবি, “আমাদের একশো বিঘা মতো জমি রয়েছে। তা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত।’’ তদন্তে তাঁদের সম্পত্তির নিয়ে প্রশ্ন উঠল কেন? শাহিদের দাবি, “অনেক কথা বাজারে রটে, যার সত্যতা নেই। আমরা চাই সত্যটা বেরিয়ে আসুক। তাই সিবিআই-ইডির কাছে সম্পত্তির নথিপত্র দেখাতে রাজি।’’ এলাকায় তারা পুরনো স্বচ্ছল পরিবার হিসেবেই পরিচিত, দাবি করেন বাসিন্দাদের একাংশও। সিউড়ির আইসি-কে ইডি-র জেরা প্রসঙ্গে এ দিনই বর্ধমানে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম দাবি করেন, ‘‘এরা তো সব নাট-বল্টু। একেবারে উপর থেকে শুরু করতে হয়। সমূলে উৎখাত করতে হবে।’’ তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, এই অর্থহীন কথাবার্তার জবাব দেওয়ার মানে হয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy